প্রতি বছর দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ব্যাপক হারে হ্রাস পাচ্ছে। কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাসও এর অন্যতম প্রধান কারণ। এ অবস্থায় সরকারও বেশ চিন্তিত। এ কারণেই সরকার জমির উর্বরতা বাড়াতে কৃষকদের জন্য অনেক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষিতে অধিক রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার এবং শস্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণ না করায় মাটির উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করা বেশি যুক্তিযুক্ত। যত তাড়াতাড়ি কৃষক এটি বুঝতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি সে তার ক্ষেতের উর্বরতা ফিরে পেতে সক্ষম হবে। কৃষকরা তাদের ফসলের জন্য ভার্মি কম্পোস্ট, সবুজ বা প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহার করে মাটি সুস্থ রাখতে পারেন।
কৃষকদের ক্রমাগত একই ধরণের চাষ করা উচিত নয়। তাদেরকে ফসলের আবর্তন অবলম্বন করার পরামর্শও দেওয়া হয়। এ জন্য খরিফ-রবি ফসল চাষের পাশাপাশি ডাল ফসলও মাঝখানে আবাদ করা যেতে পারে। ডাল ফসলে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে দেখা যায়। এ ছাড়া কৃষকরা অন্যান্য অর্থকরী অর্থাৎ লাভজনক ফসলও চাষ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ এই গাছ চাষ করে কৃষক হতে পারেন কোটিপতি
রাসায়নিক কীটনাশক মাটির উৎপাদন ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিতে পারে। সেই জন্য কৃষকরা জমিতে নিম, ক্যাটনিপ, অ্যালোভেরার মতো ফসল লাগাতে পারেন। এতে করে ক্ষেতে শত্রু পোকা জন্মাবে না এবং মাটিতে শক্তি ফিরে আসবে এবং ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।