বর্তমানে কৃষকদের খরিফ মৌসুম চলছে এবং এ মৌসুমের প্রধান ফসল হচ্ছে ধান। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে বর্ষা আসার পর কৃষকরা ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে ধান চাষ করা সহজ বিষয় নয়। এর জন্য কৃষকদের দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়, এর পরেও অনেক সময় কৃষকরা ফসল উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাই আমরা আপনাদের জন্য ধান চাষের সহজ উপায় নিয়ে এসেছি। এভাবে ধান চাষ করলে কৃষকদের পরিশ্রম কম হবে না, লাভও হবে বেশি।
ধান চাষের সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি
ধান চাষের পদ্ধতি , যা সম্পর্কে আমরা আপনাকে এখানে বলতে যাচ্ছি, অনেক নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, স্প্ল্যাটার পদ্ধতি বা বীজ ড্রিল পদ্ধতি, এটি ছাড়াও, এর সবচেয়ে জনপ্রিয় নামটি সরাসরি ধান বপন করা। তাহলে আসুন জেনে নিই কিভাবে বীজ ড্রিল পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়।
কীভাবে বীজ ড্রিল পদ্ধতিতে ধান চাষ করবেন
এ জন্য প্রথমে ক্ষেত লাঙ্গল করে ২-৩ দিন রেখে দেওয়া হয়।
এর পরে, আপনি এক সপ্তাহের জন্য জলে ভরা ক্ষেত ছেড়ে দিন। এটি করা হয় যাতে জমিতে বেড়ে ওঠা আগাছাগুলি ইতিমধ্যে জন্মায় এবং সেগুলি লাঙ্গল দিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়।
আরও পড়ুনঃ মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে মাছ চাষীরা লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন
এখন আপনার ক্ষেত প্রস্তুত, তারপর বীজ ড্রিল মেশিনের মাধ্যমে ধানের বীজ বপন করুন। তবে হ্যাঁ, এই সময়ে মনে রাখবেন যে আপনি বপনের জন্য যে বীজটি ব্যবহার করতে যাচ্ছেন তা যেন সেরা জাতের ধান হয়।
ক্ষেত তৈরির সময় সেচের সময় সঠিকভাবে জলে যাতে ফসলে পৌঁছায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বীজ ড্রিল পদ্ধতির সুবিধা
ধানের ফসল 10 থেকে 15 দিন আগে পাকে এবং প্রস্তুত হয়। এটি কৃষকদের পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত করার জন্য আরও সময় দেয়।
এই কৌশলে ধান চাষে কম জল ব্যবহার করা হয়, যার কারণে ফসলের আকস্মিক খরা সহ্য করার ক্ষমতাও অনেক বেশি। এছাড়াও, এই কৌশলগুলিও পরিবেশ বান্ধব।
রোপণ পদ্ধতির তুলনায় এই কৌশলে চাষ করতে কম শ্রমও লাগে।
অর্থাৎ সার্বিকভাবে যদি দেখা যায়, এই পদ্ধতিতে কৃষকরা ধানের বেশি উৎপাদন এবং কম খরচে বেশি আয় পান।