সুতি চাষকারী কৃষকদের কাছে একটি সুসংবাদ এসেছে। কটন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ সিএআই সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। এই রিপোর্টে কৃষকরা স্বস্তি পেয়েছেন। সমস্ত অঞ্চলটি কোরোনা ভাইরাসের সর্বনাশ দ্বারা সর্বত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তুলা শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
কটন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সুতির রফতানিতে কোন প্রভাব ফেলবে না। গত বছর তুলার রফতানি খুব বেশি হয়নি। তবে এবার রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মরসুমে তুলার মোট রফতানি হবে প্রায় ৪২ লক্ষ বেল। তুলার মরসুম অক্টোবর থেকে শুরু হয়। কটন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিএআই)-এর সভাপতি অতুল গণাত্রাও পিটিআই কে জানিয়েছেন যে, করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সুতির রফতানি খুব বেশি প্রভাবিত হবে না।
ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারির শেষে তুলা রফতানি করা হয়েছে
সিএআই-এর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারির শেষে সংগঠনটি প্রায় ৬ লাখ বেল তুলা রফতানি করেছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও অনেক দেশের বাজার থেকে তুলার চাহিদা বেড়েছে। ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় ৫ লক্ষ বেল তুলা রফতানি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানের কাছে এখনও আরও ৬ মাস সময় রয়েছে তুলার মরসুমের জন্য। সংগঠনটি বিশ্বাস করে যে, চলতি মরসুমে এটি তুলা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা খুব সহজেই পূরণ করতে সক্ষম হবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)