মৌরি রান্নার একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় মশলা। মৌরি ও মৌরি পাতা দুটোই খাওয়া যায়। পান তৈরীতেও মৌরি মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মৌরি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায়, বমিভাব কমায় এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে হাম রোগের শুরুতে মৌরি ভেজানো জল খেলে রোগযন্ত্রণার উপশম হয় । মৌরিকে "স্টোর হাউস অব ভিটামিনস "বলা হয়। কারণ ভিটামিন - এ,ই,সি এছাড়া বি কমপ্লেক্স ভিটামিনস প্রচুর মাত্রায় রয়েছে।
মৌরীর বিভিন্ন জাত
মৌরির কয়েকটি উন্নত ধরনের জাত আছে। যেমন, পি-এফ-৩৫, এ-৭-৯, এস.এল.-১, এস-এল -২ ইত্যাদি।
মৌরি চাষে প্রয়োজনীয় জলবায়ু
আমাদের দেশে মৌরির চাষ হয় শীত ঋতুতে। তাই এর জন্য ঠাণ্ডা আবহাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বৃষ্টি এ ফসলের প্রতিকূল।
উপযুক্ত মাটি
সব রকম মাটিতেই মৌরি চাষ করা যায়, তবে উর্বর দোআঁশ ও এঁটেল দোআঁশ মাটিতে এর ফলন সবচেয়ে ভাল হয়।
আরও পড়ুনঃ ভিয়েতনাম থেকে আসছে লাল কাঁঠাল,চাহিদা বাড়ছে ধীরে ধীরে, আজই শিখে নিন চাষ পদ্ধতি
জমি তৈরীর কৌশল
জমিতে ৪-৫ বার লাঙল ও মই দিয়ে মাটি তৈরী করতে হবে। সেই সঙ্গে ৮-১০ গাড়ি গবোর বা আবর্জনা সার মাটির সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
মৌরির বীজ বপনের পদ্ধতি
(১) বীজ বপনের সময় : আশ্বিন মাসের শেষ থেকে কার্তিক মাসের প্রথম পক্ষই বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
(২) বীজের পরিমাণ : প্রতি একরে ৪-৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
(৩) বীজ বাপনের পদ্ধতিঃ বীজ সাধারণত হাতে ছড়িয়ে বোনা হয়। মৌরি চারা বীজ তলায় তৈরি করে নিয়ে চাষের জমিতে লাগানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে আলু জমির ধারে ধারে মৌরীর চারা লাগানো হয়।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
প্রতি একরে ৮ কেজি নাইট্রোজেন ও ১২ কেজি ফসফরাস প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরীর সময় ফসফরাস এবং চারা একটু বড় হলে অর্থাৎ বীজ বপনের একমাস পর নাইট্রোজেন চাপান সার হিসেবে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সার হিসাবে ব্য়বহার করুন ডিমের খোসা,ফল পাবেন দ্বিগুন
পরিচর্যা কিভাবে করবেন?
জমিতে দু'একবার নিড়েন দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। জমি ও ফসলের অবস্থা বুঝে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। এ চাষে মোটামুটি তিন- চারটে সেচের প্রয়োজন পরে।