Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 28 November, 2022 4:29 PM IST
কৃষিজাগরন।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ রেশম চাষের প্রসারে ও উৎপাদনে ভারতবর্ষের স্থান চীনের পরেই পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হলেও সিল্কের রকমফেরে বরাবরই আমরা সেরা এবং আমাদের জীবন ও সংস্কৃতির সাথে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সিল্ক।

এই সবরকমর সিল্ক বা রেশম একমাত্র আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয় যার মধ্যে মুগ রেশম ভৌগলিকভাবে ভারতের এবং অসম রাজ্যের সম্পদ বলে আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাম্প্রতিক কালে আমাদের রাজ্যের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার মুগার চাষ করা হচ্চে এবং ফলও খুব ভালো। মুগার সোনালী উজ্জ্বল রং-এর জন্য ও এর স্থায়িত্বের কারনে এর চাহিদা পৃথিবী ব্যাপী। মুগা পৃথিবীর দুর্লভ রেশমের মধ্যে একটি।

আরও পড়ুনঃ চাষীদের স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকারের অভিনব উদ্যোগ

বারতে রেশম শিল্পের সর্বোচ্চ সংস্থা হল- কেন্দ্রীয় রেশন পর্ষদ । আমাদের র্জ্যে বহরমপুর ও কর্নাটকের মাইসোর শহরে সেরিকালচার গবেষনা কেন্দ্র এবং যোরহাট-এ অবস্থিত মুগা ও এরি গবেষনা ও প্রশিক্ষন সংস্থা এবং রাঁচি তে আছে তসর গবেষনা ও প্রশিক্ষন সংস্থা।

রেশমতন্তু বা সূতো রেশন মতের লার্ভার লালাগ্রন্থি থেকে নিংস্বৃত প্রোটিন-জাতীয় তন্তু । রেশম পোকা বা পলুর ইংরাজী নাম  silkworn  বা রেশমকীট। মুগা প্রজাতির রেশমকীট থেকে পাওয়া যায় মুগা সিল্ক। অসমে মুগাকীটের পালন প্রবম কোথায় আরম্ভ হয়েছিল তা বলা কঠিন যদিও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে মুগার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়-এটি ৩২১খৃষ্ঠপূর্বের কথা । অহম যুগে এর প্রচলন বৃদ্ধি পায় এবং তা অহম রাজপরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অসমের ভৌগলিক অবস্তান ও জলবায়ু মুগা পালমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী যদিও পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে বিশেষ করে আমাদের রাজ্যের কোচবিহার,আলিপুরদুয়ার ,জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় ব্যাপকভাবে এর চাষ এখন প্রসারিত।

মুগা রেশমকীট নির্দিষ্ট কিছু উদ্ভিদের পাতা খায়-যেমন সোয়ালু এছাড়াও কিছু গেটন পোষক উদ্ভিদতও আছে –দিগলতে , গানসরাই  এবং মেজাংকারী । মেজাংকারী গাছে মুগাপালনের ফলে উৎপাদিত সিল্কের রং সোনালী রং এর পরিবর্তে সাদা হয় এবং এটি মেজাংকারী সিল্ক নামে পরিচিত –এবং এটিকে সর্বোকৃষ্ট বলে গন্য করা হয়।

আরও পড়ুনঃ এবার গ্লাইফোসেট ব্যবহারে বিধি নিষেধ

মুগা রেশমকীটের জীবনচক্র চারটি দশার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়- ডিম ,লার্ভা বা পলু ,পিউপা এবং মথ। সোনালী হলুদবর্ণ প্রদানকারী মুগা রেশমকীট অর্ধগৃহপালিত কারন লার্ভা দশা সম্পন্ন হবার পর তারা পোষক উদ্ভিদ বেয়ে নীচে নেমে আসে এবং এই পরিপক্ক পলুমুগ চাষী সংগ্রহ করে থাকেন ও তাঁর নিজেদের গৃহেই গুটি বা কোকুন বুননের জন্যে রাখেন। মূলত সোম ও সোয়ালু গাছেই প্রতিপালন করা হয় । একটি স্ত্রী মথ ১৫০-২০০ ডিম দেয় । স্ত্রী মুগা মথকে সোমগাছের ডালে বেঁধে দেওয়া হয় ডিম পাড়ার জন্য –লার্ভাগুলি পরে সোম বা সোয়ালু গাছে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রতিপালনের জন্য । মুগা লার্ভার একটি বিশেষ স্বভাব হল পোষক উদ্ভিদে পাতা না থাকলে দলবাদ্ধভাবে গাছের নীচে নেমে আসে । পোষক উদ্ভিদের নীচের দিকে গাবিবাদ্ধ (অসমীয়াতে)বাঁধা হয় যা মূলত কলাগাছের বাকল দিয়ে তৈরী। গারীবান্ধ বাঁধার ফলে মুগা লার্ভা নীচে নামতে পারেন। এই সময়ে চাষীরা চালত্রি (বাঁশ দিয়ে তৈরী ত্রিভুজাকৃত যন্ত্রবিশেষ ) এর মাধ্যমে একগাছ থেকে অন্য গাছে স্থানান্তর করে। লার্ভা দশা অসপন্ন হবার পর পরিপক্ক লার্ভা সন্ধ্যাবেলায় গাছের নীচে নেমে আসে এবং তখন মুগা চাষীরা পলু সংগ্রহ করে শুকনো সোম বা কাঁঠাল পাতা দিয়ে তৈরী জালিতে রেখে গুটিকা কোকুন বুননেড় উদ্দেশ্যে । কোকুনগুলি সোনালী হলুদ বর্নের হয় । কোকুন বা গুটি সংগ্রহ করে ভিড় বা ভাংরী নামক যন্ত্রের সাহায্যে গুটি কাটাই বা রিলিং করে মুগা চাষী সোনালী মুগা সূতো আহরন করেন। ডিম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে রাগ কোকুন বা গুটি থেকে মথ বেরিয়ে আসে ও প্রজননের মাধ্যমে পুনরায় জীবনচক্র সম্পন্ন করে।

ডঃপ্রতাপ মুখোপাধ্যায় ,অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিজ্ঞানী,(ICAR-CIFA)

English Summary: The golden crop is Muga silk
Published on: 28 November 2022, 04:29 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)