কৃষিজাগরন ডেস্কঃ আজকাল ফসলে পোকা-মাকড়-রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়ে গেছে, যার জন্য কীটনাশক স্প্রে করার আগে কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পণ্যের গুণগত মান প্রশ্নের মুখে দাড়িঁয়েছে। এমন কিছু কীটনাশক আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে। এই কারণেই ভারত সরকার এ পর্যন্ত কয়েক ডজন কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছে।
নীচে ভারতে নিষিদ্ধ কীটনাশকগুলির সম্পূর্ণ তালিকা রয়েছে৷ এসব কীটনাশক বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং লিখিত অনুমতির ভিত্তিতে সেগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতে ব্যবহার নিশিদ্ধ কীটনাশকের তালিকা
অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড – এই কীটনাশক ওষুধ শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগ এবং সংস্থাগুলিতে বিক্রি করা যেতে পারে। এর স্প্রে করাও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এটি ব্যবহারের আগে সরকারী বিশেষজ্ঞ বা কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রাকৃতিক চাষের প্রচারের জন্য চালু হয়েছে নতুন ওয়েবসাইট, জানুন কীভাবে এটি কৃষকদের সাহায্য করবে
ক্যাপ্টাফোল- ফলিয়ার স্প্রে অর্থাৎ এই কীটনাশক সরাসরি স্প্রে করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তবে অনুমতির ভিত্তিতে বীজ ড্রেসার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সাইপারমেথ্রিন - এই কীটনাশক ওষুধের 3% শুধুমাত্র কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অপারেটরদের দ্বারা ধোঁয়া জেনারেটর দ্বারা ব্যবহার করা হবে। এই ওষুধটি কৃষক বা সাধারণ জনগণের জন্য বিধিনিষেধ সাপেক্ষে।
Dazomet- চা বাগানে Dazomet কীটনাশক ওষুধের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। অন্যান্য জায়গায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী অনুমতি নিতে হবে।
ডিডিটি- এই কীটনাশক ওষুধ শুধুমাত্র জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সীমাবদ্ধ।
ফেনিট্রোথিয়ন- এই কীটনাশক নির্ধারিত মরুভূমি এলাকায় সীমিত ব্যবহারের জন্য এবং পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
মিথাইল ব্রোমাইড- এই কীটনাশক ওষুধ ব্যবহারের জন্য সরকারী বিশেষজ্ঞ বা কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞদের অনুমতি প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই বপন করুন এই ৫টি ফসল! সময়মতো উৎপাদন হবে, আয়ও হবে বাম্পার
মনোক্রোটোফস- অনেক ফসলে স্প্রে করার জন্য কৃষিতে মনোক্রোটোফস ব্যবহার করা হয়, তবে উদ্ভিজ্জ ফসলে এর স্প্রে করা সীমাবদ্ধ।
এই কীটনাশকগুলির ফর্মুলেশনের উপর নিষেধাজ্ঞা
-
কার্বোফুরান ৫০% এসপি
-
মেথোমিল ২৪% এল
-
মেথোমিল ১২.৫% এল
-
ফসফামিডিন ৮৫% এল
ভারতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশক
কিছু কীটনাশক পরিবেশ, মাটি এবং ফসলের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এগুলো স্প্রে করলে পোকামাকড়-রোগ অবশ্যই শেষ হবে, তবে এর সাথে সাথে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ কারণেই বিপজ্জনক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি প্রায় ২০০ কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর মধ্যে কয়েকটি কীটনাশকের নামকরণ করা হয়েছে।
-
অ্যালডিকার্ব
-
অলড্রিন
-
বেনোমিলি
-
বেনজিন হেক্সাক্লোরাইড
-
ক্যালসিয়াম সায়ানাইড
-
6.কারবারিল
-
ক্লোরবেনজাইলেট
-
ক্লোরডেন
-
ক্লোরোফেনভিনফস
-
কপার অ্যাসিটোয়ারসেনাইট
-
ডিডিটি
-
ডায়াজিন
-
ডায়াজিন
-
ইথাইল মার্কারি ক্লোরাইড
-
ইথাইল প্যারাথিয়ন
-
মেনাজোন
-
মেথক্সি ইথাইল মারকারি ক্লোরাইড
-
মিথাইল প্যারাথিয়ন
-
মেটোক্সুরন
-
নিকোটিন সালফেট
-
নাইট্রোফেন
-
প্যারাকোয়াট
-
সোডিয়াম সায়ানাইড
-
সোডিয়াম মিথেন আর্সোনেট
-
টেট্রাডিফন
-
থায়োমেটান
-
ইথিলিন ডিব্রোমাইড
-
ফেনারিমল
-
ফেন্থিয়ন
-
হেপ্টাক্লোর
-
ট্রাইমোরসিড
-
ট্রাইমোরসিএ