আবহাওয়ার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে কৃষিকাজের প্রক্রিয়া অনেকটা নির্ভরশীল। বর্তমান সময়ে কৃষিকাজ অনেকটা ঝুঁকিনির্ভর হয়ে উঠেছে। কারন কোনো কোনো সিজেনে কৃষকরা লাভের মুখ দেখেন আবার কোনো কোনো সিজেনে মারত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে যতই আমরা আধুনিকরনের মধ্য দিয়ে হাঁটছি ততই কৃষিকাজ যন্ত্রনির্ভর হয়ে উঠছে। যার ফলে চাষের শুরুতেই প্রচুর পরিমানে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন পড়ছে। ফলে নিম্নশ্রেণীর কৃষকরা চাষবাসের খরচ যোগাতে না পেরে নিজ চাহিদার তাগিদে নিজের মত করে চাষ করতে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চাষবাস ছেড়ে বেঁচে থাকার জন্য বিকল্প রাস্তা খুঁজছেন।
যে সমস্ত ব্যাক্তি বা কৃষকরা চাষবাসের প্রতি আশা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই ফসল উৎপাদন না করে গাছের চাষ করে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন। এমন কিছু গাছ রয়েছে যেগুলি চাষ করে মোটা অংকের টাকা রোজগার করতে পারেন। শুধু মোটা টাকা উপার্জন না, কোটিপতিও হয়ে যেতে পারেন। চলুন এক নজরে দেখে নেব সেই সমস্ত গাছ, যা থেকে আপনি উপার্জন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ এই কাজটি না হলে আসবে না আবাস প্লাসের টাকা! রাজ্যকে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
আমরা কম বেশি প্রত্যেক মানুষই সফেদা গাছের নাম শুনেছি। এই সফেদা গাছের চাষ করতে পারেন। এই গাছের চাষ করতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এই গাছ চাষের জন্য খুব বেশি জলেরও প্রয়োজন হয় না। এই গাছের চাষের জন্য খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম। এছাড়াও সফেদা গাছের কাঠ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এই গাছ চাষের জন্য শুরুতে ২১ থেকে ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন।
এছাড়াও রয়েছে গামার গাছ। এই গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গামার গাছ ১ একর জমিতে প্রায় ৫০০ টা গাছ লাগানো সম্ভব। এই গাছ লাগানোর জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচা করতে হয়। গামার গাছ বড় হতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ বছর। ১ একর জমিতে এই গাছ লাগালে আয় হবে প্রায় ১ কোটি। এছাড়াও সেগুন কাঠ খুবই দামি। এই গাছের চাষের জন্য ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে হবে। সেগুন গাছও ১ একর জমিতে প্রায় ৫০০ টা গাছ লাগানো সম্ভব। এই গাছ লাগালে এককালীন মোটা অংকের টাকা পান গাছের মালিক।