কৃষকরা ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, ভালো মানের বীজের চাহিদা বেড়েছে এবং কৃষকরা ভালো মানের বীজের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলির সাথে যোগাযোগ করছেন। বিশেষ করে, পুসার ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IARI) এর বীজ কেন্দ্রগুলিতে প্রচুর ভিড় দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি, কৃষক মেলায় ১.৮২ কোটি টাকার ধান বীজ বিক্রি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও, বিপুল সংখ্যক কৃষক অনলাইন মাধ্যমেও বীজ কিনেছেন।
এই জাতের বাসমতি চালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
আইএআরআই পুসায় কিছু বিশেষ জাতের বাসমতি চালের ব্যাপক চাহিদা দেখা গেছে। ডঃ জ্ঞানেন্দ্র সিং-এর মতে, কিষাণ মেলার সময় নিম্নলিখিত বাসমতি জাতগুলি কৃষকদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছিল:
- পুসা বাসমতি ১৫০৯
- পুসা বাসমতি ১১২১
- পুসা বাসমতি ১৭১৮
- পুসা বাসমতি ১৮৪৭
- পুসা বাসমতি ১৯৮৫
- পুসা বাসমতি ১৯৭৯
হরিয়ানার সিরসা এবং ফতেহাবাদ জেলার কৃষকরা পুসা বাসমতি ১৪০১ বেশি কিনেছেন।
বাসমতি নয় এমন এই জাতের চালের বিশাল বিক্রি
বাসমতি ছাড়াও, বাসমতি নয় এমন কিছু ধানের জাতও বেশ জনপ্রিয় ছিল। সর্বোচ্চ বিক্রয় রেকর্ড করা হয়েছে:
- পুসা ২০৯০
- পুসা ১৮২৪ (পুসা ১৮২৪)
কৃষকরা বিশেষ করে এমন জাতের ফসল খুঁজছিলেন যা অল্প সময়ে বেশি ফলন পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির ছাদে জাফরান চাষ করুন, পুরো প্রক্রিয়া এবং যত্নের টিপস জেনে নিন!
কৃষকরা কেন পুসা বীজ পছন্দ করেন?
পুসা কর্তৃক উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলি উচ্চ ফলন, কম জলের প্রয়োজন এবং পোকামাকড় প্রতিরোধের জন্য পরিচিত। এই কারণেই প্রতি বছর সারা দেশের কৃষকরা এই বীজগুলিকে অগ্রাধিকার দেন। এ বছরও কৃষকরা উন্নত উৎপাদন এবং উচ্চমানের ধানের জন্য পুসার উন্নত জাতের ধান বেছে নিয়েছেন।
আপনি অনলাইনেও বীজ কিনতে পারেন।
যদি কোন কৃষক মেলায় পৌঁছাতে না পারেন, তবুও তিনি পুসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pusabeej.iari.res.in- এ গিয়ে অনলাইনে বীজ বুক করতে পারবেন । কৃষকদের জন্য বীজের হোম ডেলিভারির বিকল্পও রয়েছে, তবে এর জন্য কৃষকদের অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। অনলাইনে কেনার মাধ্যমে, কৃষকরা সরাসরি খাঁটি এবং উচ্চমানের বীজ পেতে পারেন।