হাজারো পুষ্টিগুণের সম্ভারে তৈরি পুদিনা। প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত পুদিনা। পুদিনা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি গাছ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং ভিটামিন এ রয়েছে। গ্রীষ্মকালে পুদিনার চাহিদা বেশি হয়। পুদিনার পানীয়, পুদিনার লস্যি পাশাপাশি বহু ওষুধে এর ব্যবহার করা হয়।
কম বেশি সকলের ঘরেই পুদিনা গাছ থেকেই থাকে। তবে বানিজ্যিক ভাবে যদি কৃষকরা এর চাষ শুরু করেন তাহলে পুদিনা চাষ করলে এর থেকে ভালো আয় হয়। বহু রাজ্যে পুদিনা চাষের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হয়। আর পুদিনা চাষের একটি বিশেষত্ব হল এর ফসল দু বার তুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার লাভের পরিমাণ দ্বিগুন হবে।
পুদিনা চাষের ক্ষেত্রে মাটির ph থাকতে হবে ৬ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে। পুদিনা চাষের ক্ষেত্রে দু বার লাঙল দিতে হয়। বেশ কয়েকবার লাঙল দিয়ে মাটি সমতল করতে হবে। জল নিস্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হওয়া প্রয়োজন। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহার করা বেশি ভালো। এক হেক্টর জমিতে যদি চাষ শুরু করেন সেক্ষেত্রে ১০ টন গোবর থেকে জৈব সার তৈরি করতে পারেন। জৈব সারের মধ্যে ৬০ কেজি ফসফরাস, ৫০ কেজি নাইট্রোজেন ও ৪৫ কেজি পটাশ দিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ধনী করবে এই ফসল! এক হেক্টরে ২০ লাখ টাকা আয়
পুদিনা চারা রোপণের সবচেয়ে উত্তম সময় হল জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি। কিছু জাত রয়েছে যেগুলি মার্চ মাসেও আপনি চাষ করতে পারেন। চারা রোপণ করার পর ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ফসল তৈরি হয়। যেহেতু একবার রোপণ করলে দুবার ফসল পাওয়া যায় তাই দ্বিতীয় ফসলের জন্য ৭০ থেকে ৮০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। কৃষকরা ১ হেক্টর জমিতে যদি পুদিনা চাষ করেন সেক্ষেত্রে কয়েক লাখ টাকা আয় করা যায়।
আরও পড়ুনঃ বাসমতির জাতঃ সাশ্রয় করুন জল এবং খরচ! এই ধানের জাত থেকে হবে লক্ষ্মীলাভ