বর্তমানে চাষ মানেই শুধু ধান, গম, আলু এগুলি নয়। এখন চাষের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে মরিয়া দেশের কৃষক মহল। তাই বর্তমানে বাড়ছে গাছ চাষের প্রবনতা। গাছ চাষের ক্ষেত্রে সময় এবং ধৈর্য উভয়ই দরকার। তবে আপনি যদি দূরের কথা ভেবে চাষে নামেণ সেক্ষেত্রে গাছ চাষ আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। আসবাবপত্র ও ওষুধের জন্য গাছ চাষের প্রচলন বাড়ছে। কিছু গাছের কাঠের পাশাপাশি ফল, পাতা, বাকল ও শিকড়েও ঔষধি গুণ রয়েছে, যে কারণে বাজারে এগুলোর ভালো দাম পাওয়া যায়।
মেহগনি
কৃষক ধৈর্য ধরলে মেহগনি চাষ করে কোটি টাকা আয় করতে পারে। এই গাছের বীজ থেকে শুরু করে ছাল, কাঠ ও পাতা ভালো দামে বিক্রি হলেও ১২ বছরেই তৈরি হয় এই গাছ। এর বীজ প্রতি কেজি 1000 টাকা, কাঠ প্রতি ঘনফুট 2000-2200 টাকায় এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন ফুল, পাতা ও ছালও বেশি দামে বিক্রি হয়। এর চাষ থেকে আপনি 1 কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ প্রবল তাপপ্রবাহ! ধানে চিটা রোগ, দেওয়া হল বিশেষ কৃষি পরামর্শ
নিম গাছ
আপনি যদি নিমের ঔষধি গুরুত্ব বুঝতে পারেন, তাহলে এটি কলিযুগের প্রাণ। নিঃসন্দেহে প্রতিটি রাস্তার মোড়ে নিম পাওয়া যায়, কিন্তু এর উপকারিতা জানা সত্ত্বেও মানুষ এটি ব্যবহার করে না। ব্যাকটেরিয়ারোধী ও জীবাণুনাশক গুণসম্পন্ন নিম পাতার ছাল ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং বাজারে খুব দামি বিক্রি হয়। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে মানুষ মালাবার নিম চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দাম আর ফলন কম হওয়ায় খরচ তুলতে হিমশিম বেগুন চাষীর
দারচিনি
রান্নাঘরের সবচেয়ে প্রিয় মশলাগুলির মধ্যে একটি, দারচিনি নিজেই একটি ওষুধ। দারচিনি গাছের বাকল মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ ভারতে ব্যাপক হারে দারচিনি চাষ হচ্ছে। এখান থেকে মসলা, গুঁড়া, সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য পণ্য এবং তেল আহরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দারচিনির ব্যবসা কোটি টাকার।