উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: শীত মানেই প্রাণের ছোঁয়া। হিমের কনকনে ঠাণ্ডা আর চারিদিক কুয়াশাচ্ছন্ জলপাইগুড়ি'র প্রকৃতি, সঙ্গে পুলিপিঠে। যেন এক অপূর্ব পরিবেশের মেল বন্ধন। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা বাহারি রঙের শীতকালীন ফুল। এমন কোনো মানুষ নেই যে ফুল ভালোবাসে না। ফুল হল পবিত্রতা ও ভালবাসার প্রতীক। শীতকালীন ফুল লাগানোর উপযুক্ত সময় হল নভেম্বর মাস।
শীতকালে বিভিন্ন ধরণের নাম না জানা রঙিন ফুল ফোটে। অনেকেই টবে বা বাগানে রঙিন ফুল লাগাতে পছন্দ করেন। সেই ফুলের চারা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মালবাজার, হলদিবাড়ি এবং বিভিন্ন জায়গায় ফুলের দোকান নিয়ে বসেন টেকাটুলির রবীন্দ্রনাথ রায় আর মন্টু রায়। তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের জন্য সুখবর! ঘরে বসেই নমুনা পরীক্ষা করা যাবে, বাজারে এলো সস্তার সেন্সর
এর আগে তার প্রয়াত বাবা ননীগোপাল রায় এই কাজ করে এসেছেন। বর্তমানে তার দুই ছেলে এই কাজ করে দুজনেই অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের এই নার্সারিতে প্রায় ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের এই নার্সারিতে ডালিয়া, সূর্যমুখী, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, গোলাপ, হবক্যামেলিয়া, ফুটপ্যান্সি, ডায়ান্থস, সালভিয়া, স্যালোশিয়া সহ বিভিন্ন নাম না জানা বিদেশি ফুলের চারা রয়েছে। এক শ্রমিক ছোটন দাস বলেন, এবছর ডায়ান্থস ও সালভিয়া ফুলের চারা বেশি চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শীত নেই বঙ্গে ,ক্ষতির আশঙ্কা ফুলকপি চাষীদের