কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ আজকাল ভারতীয় কৃষকরা তাইওয়ানের তরমুজ এবং তরমুজ চাষ করছেন। বিহারের কাইমুরে বসবাসকারী কৃষকরা তাইওয়ানের ফল চাষ করে মাত্র তিন থেকে চার মাসে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা লাভ করছেন।আজকের প্রবন্ধে আমরা জানবো কিভাবে তাইওয়ানের তরমুজ এবং তরমুজ থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়।
বিহার রাজ্যের কাইমুর জেলার দারিডিহের মুন্না সিং ২০ একর জমিতে তাইওয়ানের তরমুজ ও তরমুজ চাষ করছেন। মুন্না সিংয়ের মতে, তিন থেকে চার মাসে তিনি ৫০ থেকে ৬০ লাখ রুপি লাভ পান। কৃষিকাজ করে নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থান দিচ্ছেন মুন্না সিং। তিনি প্রায় ৪০ জনের কর্মসংস্থান করেছেন। আসুন তাইওয়ানের তরমুজ এবং তরমুজ সম্পর্কে জানি...
তাইওয়ানিজ ফলের বিশেষত্ব
তাইওয়ানি তরমুজ এবং ক্যান্টালুপের স্বাদ খুব মিষ্টি। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যের দিক থেকে এটি খুবই উপকারী। এগুলো খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং এই ফলগুলো রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।এগুলো ব্যবহারেত্বক সুস্থ থাকে।এর ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়। এগুলি ছাড়াও, এটির দীর্ঘ শেলফ লাইফ রয়েছে, যার অর্থ এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য নষ্ট হয় না। এ কারণে বাজারে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি
তাইওয়ানের তরমুজ-তরমুজ চাষের জন্য বেলে ও বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো । মাটি নিষ্কাশন করা বাধ্যতামূলক।
উপযুক্ত জলবায়ু
উত্তরপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের মতো রাজ্যের জলবায়ু এই ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
বীজ বপনের সঠিক সময়
তাইওয়ানের তরমুজ এবং তরমুজ জানুয়ারির শেষ মাসে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে চাষ করা হয়।
জমি প্রস্তুত
তাইওয়ানিজ ফল বপন করার আগে, ক্ষেত ভালভাবে লাঙ্গল করুন। জমিতে জলের পরিমাণ কম বা বেশি হওয়া উচিত নয়। মাটিতে গোবর ও অন্যান্য জৈব সার মিশিয়ে পুষ্টির অভাব পূরণ করুন। ক্রপ কভার পদ্ধতিতে এর চাষ করা যায় এবং সময়ের আগে ফসল তোলা যায়।
চাষে খরচ ও লাভ
এক একরে তাইওয়ানের তরমুজ ও তরমুজ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় এক লাখ টাকা। বাজারে একটি ফলের দাম ৩০ থেকে ৭০ টাকা। এমন অবস্থায় প্রতি একর জমিতে আয় হয় প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকা।