কৃষিজাগরন ডেস্কঃ একটি ফসল বীজ বপন থেকে শুরু করে এর বৃদ্ধি, ফুল ও ফলন উত্পাদনের জন্য যে সময় নেয় তাকে ওই ফসলের মৌসুম বলে। অর্থাত্ কোনো শস্যের বীজ বপন থেকে এর ফল সংগ্রহ পর্যন্ত সময়ই ওই ফসলের মৌসুম। সাধারণত শীতকালীন সময়টাকে রবি মৌসুমের মেয়াদকাল হিসেবে ধরা হয়। আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস অর্থাত্ মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত, মতান্তরে মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালকে রবি মৌসুম বলে।
সূএের খবর, চলতি রবি মৌসুমে গমের উৎপাদন আগের তুলনায় পাঁচগুন বৃদ্ধি পেয়েছে । ৭.৫৬ লাখ হেক্টর । গত বছর শীতকালীন সময়ে গমের উৎপাদন ছিল ১.৪৭ লক্ষ হেক্টর।
আরও পরুন : মৎস্যমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে সুরক্ষিত হতে চলেছে ১৫ লক্ষ মৎস্যজীবীর জীবন
গম চাষের পদ্ধতি
ধানের পরই পশিমবঙ্গে যে খাদ্যটির চাহিদা সবচেয়েবেশি সেটি হলো গম। দেশের মানুষের বিশেষ করে শহরাঞ্চলে সকালের জলখাবারের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকে গমের আটা বা ময়দার রুটি-পরোটা। যদিও পশিমবঙ্গে গমের চাষ যতটা প্রসার হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি।
আরও পরুন : চুল পড়া পুরোপুরি রোধ করতে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করে দেখুন!
গমের কিছু উন্নত জাত
গমের কিছু উন্নত জাত রয়েছে এর মধ্যে উল্ল্যেখ যোগ্য হল-বারি গম- ৩০, বারি গম ৩২, বারি গম ৩৩ , বিনা গম-১, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ ও গৌরব ইত্যাদি। এই জাতের গম চাষ করলে ফলনও বেশি পাওয়া যায়।
গম চাষে খরচ
এক বিঘা জমিতে গম চাষ করতে খরচ হয় ৬-৭ হাজার টাকা। এক বিঘা জমি থেকে গমের ফলন আসে ৮-১০ মণ। প্রতি মণ গম বিক্রি হয় ৮০০-৯০০ টাকা দরে।
রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয় বলে জমিতে জল সংকট দেখা দেয়। তাই এ সময় চাষাবাদে কৃষকদের বর্ষাকালের সঞ্চিত জলের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জমিতে সেচ দিতে হয়।
গম চাষে কোন সার প্রয়োগ করবেন
গমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য জমি চাষ করার সময়ই প্রতি শতকে ৩০-৪০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করা ভালো। সেচসহ শেষ চাষের সময় প্রতি শতাংশে ৬০০-৭০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০-৭০০ গ্রাম টিএসপি, ৩০০-৪০০ গ্রাম এমওপি এবং ৪৫০-৫০০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হয়।
ফলন
গম চাষের প্রথম দিন থেকে পরিপক্ক হতে বিভিন্ন জাত ভেদে ১০০-১১২ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। উপযুক্ত পরিবেশ ও ভালো পরিচর্যা করলে একর প্রতি ১.৪৫ টন থেকে ১.৯৫ টন ফলন পাওয়া যায়।