পজীবানু সার প্রয়োগ ও বীজশোধন - প্রতি কেজি বীজে ৪০ গ্রাম রাইজোবিয়াম জীবানু সার ও কার্বোন্ডাজিম ও ম্যানকোজেবের (১:২ অনুপাতে) মিশ্র ছত্রাকনাশক মেশাতে হবে।শ্চিমবঙ্গে ডালশস্য চাষ করে সবসময়ে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়না কারন ধান কাটার পরবর্তী ফসল হিসাবে অনেক সময় ডালশস্য সঠিক সময় বোনা সম্ভব হয়না, অনুর্বর ও অসেচ জমিতে অযত্নে ও অ-বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডালশস্য চাষ করা হয়। সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডালশস্য চাষ করে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা যায়।
- জমি তৈরি :- মুসুর, ছোলা ও মটর - ৩ বার লাঙলের চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে বন্ধ করতে হবে। মাটিতে একমাস আগে প্রয়োজন মত চুন দিয়ে অম্লত্ব দুর করতে হবে।
- সার প্রয়োগ : - নাইট্রোজেন ২০ কেজি/ হেক্টর, ফসফরাস ৪০ কেজি / হেক্টর, পটাশ ২০ কেজি/ হেক্টর, অনুখাদ্য জিঙ্ক সালফেট ২০ কেজি / হেক্টর।
- বীজ বোনার দুরত্ব:- মুসুর – সারি থেকে সারি ১০ ইঞ্চি(২৫ সেমি)
মটর, ছোলা - সারি থেকে সারি ১২ ইঞ্চি(৩০ সেমি)
- অন্তবর্তী পরিচর্যা – বীজ বোনার ৩০-৬০ দিনের মধ্যে নিরানির সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
- জলসেচ – মুসুর – জমিতে রস না থাকলে একটি হাল্কা সেচ দিয়ে বীজ বোনা দরকার। পরে সেচের প্রয়োজন হয় না তবে বেলে মাটিতে ফুল আসার আগে একবার হাল্কা সেচ দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
ছোলা - জমিতে রস না থাকলে একটি হাল্কা সেচ দিয়ে বীজ বুনতে হবে। বোনার ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে ও শুটি আসার সময় সেচ দিতে হবে।
মটর - জমিতে রস না থাকলে একটি হাল্কা সেচ দিয়ে বীজ বুনতে হবে। ফুল আসার সময় ও শুটি গঠনের সময় হালকা সেচ দিলে ভলো ফলন পাওয়া যায়।
- ডালশস্যের উন্নত জাত –
কলাই- কালিন্দী, সারদা, গৌতম ও সুলতা।
ছোলা – মহামায়া-১, মহামায়া-২, অনুরাধা ও বিদিশা।
মুসুর – আশা, রঞ্জন, সুব্রত।
মুগ – সোনালী, পান্না, সুকুমার ও বীরেশ্বর।
অড়হর – শ্বেতা, রবি (২০/১০৫) ও চুনী।
মটর – ধুসর, জি.এফ-৬৮।
- অন্তবর্তী ও মিশ্র চাষ – ছোলার জমিতে সরিষা ৪:১ অনুপাতে অন্তবর্তী ফসল হিসাবে বোনা যায়। আখের সাথেও ছোলা অন্তবর্তী ফসল হিসাবে বোনা যায়। রাই সরষে, তিসি ও গমের সাথে ছোলা মিশ্রভাবে চাষ করলে রোগ পোকার আক্রমণ কমে। মুসুর ৪-৬ সারি অন্তর সরষে ভালো ফল পাওয়া যায়।