গ্রামীণ ভারতের কৃষকদের জন্য পশুপালন এবং হাঁস-মুরগি পালন আয়ের একটি শক্তিশালী উৎস হয়ে উঠেছে । বিশেষ করে দেশি জাতের গরুর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, দেশি সোনালি পোল্ট্রি খামারিদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। এই জাতটি কেবল কম খরচে উৎপাদিত হয় না, বরং বাজারে এর ডিম এবং মাংসেরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কৃষি জাগরণের এই প্রবন্ধে সোনালী মুরগির বৈশিষ্ট্য এবং বৈশিষ্ট্যগুলি জেনে নেওয়া যাক।
দেশি সোনালি চিকেন কী?
দেশি সোনালী মুরগি একটি বৈজ্ঞানিকভাবে বিকশিত হাইব্রিড জাত, যা দুটি প্রধান প্রজাতি - রোড আইল্যান্ড রেড এবং দেশি লেগহর্ন - কে অতিক্রম করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এই জাতটি দেখতে ঐতিহ্যবাহী দেশি মুরগির মতো, তবে এর উৎপাদন ক্ষমতা ব্রয়লার মুরগির মতোই। কম খাবার দিয়ে দ্রুত ওজন বাড়ানোর এবং ভালো বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষমতার কারণে, এটি পোল্ট্রি খামারিদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে এর চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলের একটা দিকে পচে গিয়েছে’, অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন আমলা
সোনালী চিকেনের বৈশিষ্ট্য
- সোনালী চিকেনের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল এর দেশি লুক, যা সহজেই গ্রাহকদের আকর্ষণ করে।
- এর রঙ এবং আকৃতি গ্রাহকদের বিশেষ পছন্দ, যার কারণে বাজারে এর চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- সোনালী মুরগির বৃদ্ধির হারও খুব দ্রুত; মাত্র ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এটি ১.৫ থেকে ২ কেজি ওজন বাড়ায়।
- এর জন্য কোনও পোষা প্রাণীর খাবারের প্রয়োজন হয় না, কৃষকরা সহজেই ঘরে তৈরি খাবার বা খামারের অবশিষ্টাংশ দিয়ে এটি চাষ করতে পারেন।
- আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ভারতীয় জলবায়ুর সাথে এর অভিযোজন ক্ষমতা; গ্রীষ্ম, শীত বা বৃষ্টি যাই হোক না কেন, এই জাতটি যেকোনো ঋতুতে সহজেই বেঁচে থাকতে পারে।
- এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো, যার কারণে এর জন্য কম ওষুধের প্রয়োজন হয় এবং এটি পালনে ঝুঁকিও কম।
উৎপাদন এবং লাভ
সোনালী মুরগি বছরে প্রায় ১৮০ থেকে ২০০টি ডিম দিতে পারে। বাজারে এর ডিমের দাম ভারতীয় ডিমের সমান, যা ৮ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া, এলাকা এবং ওজনের উপর নির্ভর করে একটি মোরগ বা মুরগির বাজার মূল্য ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
একজন কৃষক যদি ১০০টি সোনালী ছানা লালন-পালন করেন, তাহলে তিনি প্রায় ৪ মাসে ৬০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। যদি নিজস্ব খাদ্য এবং ওষুধ ব্যবস্থাপনা করা হয়, তাহলে লাভ আরও বেশি হতে পারে।