লকডাউনের মধ্যেও মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা সংস্থাটি আবারও কৃষি খাতে গৌরব অর্জন করেছে। ২০২০ সালের আগস্টে ট্রাক্টর বিক্রয় রিপোর্টের তালিকায় এই সংস্থাটির পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। অন্যান্য প্রতিযোগী কোম্পানির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে এই সংস্থাটি। বিগত মাসে এই সংস্থার বিক্রয় প্রায় ৬৯ শতাংশ অবিচ্ছিন্নভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ২৩,৫০৩ টি ট্রাক্টর তারা বিক্রয় করতে সফল হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেও কীভাবে এ জাতীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সঠিক সময়ে পরিমিত বর্ষা ও সময় মতো ফসলের বপনের কারণে ট্রাক্টর বিক্রি বেড়েছে।
সংস্থাটি তার নিজস্ব পূর্ব রেকর্ড নিজেই অতিক্রম করেছে -
সংস্থার পারফরম্যান্স সম্পর্কে কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে যে, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা সংস্থাটি বিগত বছরের কোম্পানির নিজস্ব রেকর্ডটি ভেঙেছে অতিক্রম করতে সফল হয়েছে। বিগত বছর, যেখানে ১৩,৮৭১ ইউনিট ট্রাক্টর বিক্রি হয়েছিল, এবার সেই ট্রাক্টর বিক্রির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩,৫০৩। শুধু তাই নয়, গত বছরের তুলনায় এবার কোম্পানির রফতানিও বেড়েছে।
কোম্পানির সফলতার চাবিকাঠি -
এই সাফল্যের পশ্চাতে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রয়েছে সকল কর্মচারীবৃন্দের, বলে জানিয়েছেন মাহিন্দ্রা ও মাহিন্দ্রা লিমিটেডের কৃষি সরঞ্জামগুলির প্রধান হেমন্ত সিক্কা। একটি বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন যে, ‘জুলাইয়ের পর আগস্টেও আমরা লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছি’।
বিক্রয় বৃদ্ধি -
সংস্থাটির আশা যে, উৎসবের মরসুম এগিয়ে আসায় বিক্রয় আরও বাড়বে। লক্ষণীয় বিষয়, লকডাউন হওয়ার পর থেকে অটোমোবাইল সেক্টরে ক্রমাগত লোকসান হচ্ছে, তবে ট্রাক্টর এবং অন্যান্য কৃষি সরঞ্জাম বিক্রয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সংস্থার বিক্রয় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মাহিন্দ্রা কৃষি খাতের গর্ব -
গ্রামীণ ভারতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্রাক্টর উত্পাদনকারীদের মধ্যে এই সংস্থার নাম সুবিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা-কে বলা হয় কৃষি খাতের গর্ব। সংস্থার ট্রাক্টরগুলি নাগপুর প্লান্টে তৈরি হওয়ার পরে অন্যান্য রাজ্যে আসে। এর পাশাপাশি সংস্থাটি অন্যান্য কৃষি উপকরণও প্রস্তুত করে।
Image source - Google
Releated link - (Mini tractor at low price) ৩ লাখেরও কমে ক্রয় করুন এই ট্র্যাক্টর, কৃষক বন্ধুদের হবে অর্থ সাশ্রয় সাথে দ্বিগুণ আয়
(Solar powered sprayer) এই সৌরশক্তি চালিত স্প্রেয়ারের সাহায্যে কৃষিকাজে হবে দ্বিগুণ অর্থ সাশ্রয়