কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বায়ু দূষণ এবং পরিবর্তিত জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভারতে প্রতিদিন বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ডিজেল ও পেট্রোল গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ওপরও জোর দিচ্ছে সরকার। সে অনুযায়ী দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সময়ে কর্মসংস্থান ও নতুন ব্যবসার সুযোগও তৈরি হবে। আজও, বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশনের ব্যবসা মানুষের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। তো চলুন জেনে নিই কিভাবে আমাদের দেশে এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
এত দূরত্বে চার্জিং স্টেশন খোলা যেতে পারে
দেশে মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলেও চার্জ দিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বেশিরভাগ মানুষ বর্তমানে তাদের বাড়িতে তাদের যানবাহন চার্জ করছেন। কারণ দেশে চার্জিং স্টেশনের অভাব রয়েছে।একই সময়ে, কিছু চার্জিং স্টেশন থাকলেও সেগুলো বড় শহরে অবস্থিত। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার শহরে বা গ্রামে একটি চার্জিং স্টেশন খুলে বাইক, স্কুটার, গাড়ি ইত্যাদি চার্জ করতে পারেন। যা থেকে ভালো আয় হবে । ভারত সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে, শহরগুলিতে তিন কিলোমিটার এবং মহাসড়কে কমপক্ষে পঁচিশ কিলোমিটারের ব্যবধানে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশনগুলি খোলা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে ফলনের জন্য সারের সুপারিশ
চার্জিং স্টেশন চালু করার জন্য শুধুমাত্র ইভি লাইসেন্স প্রয়োজন। যা ভারত সরকার বিনামূল্যে দিচ্ছে।অনেক রাজ্যে চার্জিং স্টেশন খোলার জন্য ভর্তুকিও দেওয়া হচ্ছে। চার্জিং স্টেশন খোলার জন্য কমপক্ষে ১০০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। যদিও চার্জিং সরঞ্জামের জন্য ১০ বর্গফুটের বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না, তবে যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য একটি বড় জায়গা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ দুধ মাশরুম চাষের সহজ পদ্ধতি
ব্যবসা শুরু করতে কত খরচ হয়
একটি চার্জিং স্টেশন চালু করতে এক থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। খরচ সম্পূর্ণরূপে চার্জিং পয়েন্টের মানের উপর নির্ভর করে। দুই ধরনের চার্জিং পয়েন্ট আছে। প্রথম ধীরগতির চার্জিং, যেখানে যানবাহন চার্জ হতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় নেয়। অন্যদিকে, দ্রুত চার্জিং রয়েছে, যাতে গাড়িগুলি এক থেকে দুই ঘণ্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়। প্রধান খরচ হল নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, সিভিল ওয়ার্ক, টেকনিশিয়ান, শ্রম, রক্ষণাবেক্ষণ, বিজ্ঞাপন, বিপণন, সফ্টওয়্যার এবং সাইট সম্পর্কিত জিনিস। ছোট পর্যায়েও এই ব্যবসা শুরু করা গেলে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা আয় করা যাবে।