মহারাষ্ট্রের কৃষকরা এখন তাদের ফসল বাঁচাতে ফসলে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করছেন । একজন কৃষক তার ১০ একর জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন । তিনি ফসলে ঔষধ দেওয়ার জন্য় আধুনিক ড্রোন এর ব্যবহার করেছেন। তাই একই জেলার অন্যান্য কৃষকরা বলছেন যে এই ড্রোনের মাধ্যমে স্প্রে করা হলে অনেক ওষুধ বাঁচানো যায় । আর সেই সাথে সময়ের অপচয় কম হয় । রাজ্যের অনেক জেলার কৃষকরা এখন ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ স্প্রে করছেন ।
কৃষকরা কি বলছেন
জেলার কয়েকজন কৃষক জানান, ড্রোনের মাধ্যমে ফসলে ওষুধ দিলে ওষুধের সাশ্রয় হয় এবং সময়ও বাঁচে। এজন্য এখন দানাপুরসহ অন্যান্য এলাকার কৃষকরা ড্রোন দিয়ে ফসলে স্প্রে করার দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে । প্রাচীনকালে বলদ ও মানুষ দিয়ে পুরাণো পদ্ধতিতে বীজ বপন করা হতো । সেচের জন্য বলদ ব্যবহার করা হতো। আজও অনেক গ্রামে কৃষকরা এখনও সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে।
আরও পডু়নঃ গঙ্গাসাগর মেলা ২০২২ঃ মেলার জন্য মামলা হাইকোর্টে, কি রায় দিল আদালত?
কৃষকদের কাজের অভাব
জেলাগুলিতে ফসল কাটা ও মজুদ করার কাজেও শ্রমিক ব্যবহার করা হত। এখন এই সমস্ত কাজ মেশিনে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে শ্রম কম দিতে হচ্ছে এবং সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে । আশেপাশের অন্যান্য জেলার কৃষকরাও প্রচুর পরিমাণে ড্রোন ব্যবহারের কথা বলছেন। তবে কৃষিকাজের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্রের ব্য়বহারের ফলে সেই শ্রমিকদের কাজ বিপাকে পড়েছে যারা আগে অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুনঃ সহজ উপায়ে বাড়িতে সবেদা চাষের উপায় জেনে নিন