কৃষিজাগরন ডেস্কঃ প্রচলিত পাওয়ার টিলার দিয়ে শুকনা জমি চাষ করতে যেখানে ৫-৬টি চাষের প্রয়োজন হয়, হাই স্পিড রোটারি টিলার দিয়ে সেখানে ১-২টি চাষ যথেষ্ট। হাই স্পিড রোটারি টিলার এসব পাওয়ার টিলার অপেক্ষাও উন্নত মানের শুকনা জমি চাষের যন্ত্র।
হাই স্পিড রোটারি টিলারের বৈশিষ্ট্যসমূহ
১। ১/২টি চাষ দিয়ে স্বল্প সময়ে জমি তৈরি করে জমিতে ফসল আবাদ করা যায়।
২। যন্ত্রের রোটারি ব্রেড শ্যাফট উচ্চ গতিতে ঘুরে বিধায় জমির ঢেলা খুব ছোট হয় ও মাটি ভাল গুঁড়া বা মিহি হয়।
৩। হাই স্পিড রোটারি টিলারে প্রচলিত টিলারের তুলনায় ৫০% সময় ও আর্থিক সাশ্রয় হয়।
৪। প্রতি ঘণ্টায় ০.১ হেক্টর (২৪ শতাংশ) জমি চাষ করতে পারে।
৫। যন্ত্রটি দিয়ে প্রতি হেক্টর জমি চাষ করতে মাত্র ৩৪০০ টাকা খরচ হয়।
৬। যন্ত্রটির বাজার মূল্য ৫০,০০০ টাকা।
পাওয়ার টিলার চালিত ইনক্লাইন্ড প্লেট সিডার
সারিতে বীজ বুনলে কম বীজ লাগে, সহজে আগাছা পরিষ্কার করা যায়, গাছ বেশি আলো বাতাস পায় এবং সর্বোপরি উৎপাদন বাড়ে। সারিতে ও নির্দিষ্ট দূরত্বে এবং গভীরতায় সহজে বীজ বোনার জন্য পাওয়ার টিলার চালিত বীজ বপন যন্ত্র উদ্ভাবন করা হয়েছে।এ যন্ত্র দিয়ে চাষ করা জমি ছাড়াও চাষবিহীন অবস্থায় বেলে ও বেলে দোআঁশ মাটিতে ধান, গম, ভুট্টা, পাট, তৈলবীজ ও ডাল শস্য সারিতে বোনা যায়।
আরও পড়ুনঃ কৃষিযন্ত্রপাতি কেনায় ৫০ শতাংশ ছাড়,আবেদন করতে কি কি লাগবে?
ইনক্লাইন্ড প্লেট সিডার বৈশিষ্ট্যসমূহ
১।যন্ত্রটি পাওয়ার টিলার চালিত।
২। এ যন্ত্র বীজকে নির্দিষ্ট স্থানে ও সঠিক গভীরতায় সুষমভাবে বপন করে।
৩।বীজের মান ভাল হলে ভাল অঙ্কুরোদগম এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক চারাগাছ নিশ্চিত করা যায়।
৪। এটি ব্যবহার করে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে প্রায় ১০-৪০ শতাংশ বীজ কম লাগে এবং ফলনও ১০-১৫স্তি বৃদ্ধি পায়।
৫। সারিবদ্ধভাবে বীজ বপনের ফলে নিড়ানি যন্ত্র ব্যবহার করা যায়। ফলে আগাছা দমন, কীটনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য আন্তঃপরিচর্যা করার জন্য প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে প্রায় ২৫% সময় ও খরচ কম লাগে।
৬। বপন খরচ প্রতি হেক্টরে ৬০ টাকা (প্রতি ঘন্টায় ১৩ টাকা)
৭। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ০.১৮ হেক্টর (৪৫ শতাংশ) জমিতে বীজ বপন করা যায়।
৮।যন্ত্রটির বাজার মূল্য ৫০,০০০ টাকা।
বেড প্লান্টার
আমাদের দেশে আলু, ভুট্টা, মরিচ, সবজিসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল বীজ-ফারো বা বেড-নালা তৈরি করে আবাদ করা হয়। বেড পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করলে বাতাস সহজেই গাছের শিকড়ের নিকট যেতে পারে। ফলে গাছ বাতাস থেকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে পারে। বেড পদ্ধতিতে নালায় পানি সেচ দিলে সহজেই অল্প সময়ে অনেক জমিতে পানি সেচ দেওয়া যায়। এতে পানির পরিমাণ ও প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় কম লাগে। এই পদ্ধতিতে শুকনা বা রবি মৌসুমে পানি যেমন কম লাগে তেমনি বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে নালা দিয়ে সহজেই জল বের হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ড্রোন দিয়ে ইউরিয়া স্প্রে করার প্রবণতা বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে
আমাদের দেশে আলু, ভুট্টা, মরিচ, সবজিসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল বীজ-ফারো বা বেড-নালা তৈরি করে আবাদ করা হয়। বেড পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করলে বাতাস সহজেই গাছের শিকড়ের নিকট যেতে পারে। ফলে গাছ বাতাস থেকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে পারে। বেড পদ্ধতিতে নালায় পানি সেচ দিলে সহজেই অল্প সময়ে অনেক জমিতে পানি সেচ দেওয়া যায়। এতে পানির পরিমাণ ও প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় কম লাগে। এই পদ্ধতিতে শুকনা বা রবি মৌসুমে পানি যেমন কম লাগে তেমনি বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে নালা দিয়ে সহজেই পানি বের হয়ে যায়।
বেড প্লান্টার বৈশিষ্ট্যসমূহ
১। বেডে ফসল ফলালে উৎপাদন খরচ কমে, মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকে ও দুষণমুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায়।
২।এ যন্ত্রের দ্বারা ১-২টি চাষে বেড তৈরি, সার প্রয়োগ ও বীজ বপনের কাজ একই সঙ্গে করা যায়।
৩। বেড প্লান্টার দ্বারা গম, ভুট্টা, আলু, মুগ, তিলসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি বীজ সফলভাবে বপন করা সম্ভব।
৪।স্থায়ী বেডেও বীজ বপন করা যায়।
৫।বেডে ফসলের অবশিষ্টাংশ রেখেই বিনা চাষে বীজ বপন করা যায়।
৬। স্থায়ী বেডে কেঁচো বাস করে বিধায় জমির উর্বরতা বাড়ে।
৭। স্থায়ী বেডে কয়েক বছর চাষ করলে জমিতে জৈব সারের পরিমাণ বাড়ে। বেডে ফসল করলে ইঁদুরের উৎপাত কমে। বেডে ফসল করলে সেচ খরচ ও সময় ২৫% কমে।
৮।যন্ত্রটি প্রতি ঘন্টায় ০.১১ হেক্টর জমিতে বেড তৈরি করতে পারে।
৯। যন্ত্রটির (মডেল-১) বাজার মূল্য ৪০,০০০ টাকা (পাওয়ার টিলার ছাড়া)।
১০। যন্ত্রটির (মডেল-২) বাজার মূল্য ৭০,০০০ টাকা (পাওয়ার টিলার ছাড়া)।