কাস্টম হায়ারিং সেন্টারের (CSC)মাধ্যমে সারা দেশে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি (Agriculture Machinery) সরবরাহ করার পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকার তাদের রাজ্যের কৃষকদের জন্য গ্রামে -গ্রামে কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খোলার ক্ষেত্রে গতি দেখিয়েছে। সম্প্রতি, কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খোলার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এই মর্মে, পাঞ্জাব সরকারও এগিয়ে এসেছে এবং এখন পাঞ্জাব সরকার কাস্টম হায়ারিং সেন্টারের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকদের প্রায় ২৫ হাজার কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ করবে বলে পরিকল্পনা নিয়েছে।
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে। প্রায়শই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা তাদের কম আয়ের কারণে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন না। কাস্টম হায়ারিং সেন্টারের মাধ্যমে ভর্তুকিতে প্রায় সকল রাজ্যেই আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের সরবরাহ করা হয়।
কাস্টম হায়ারিং সেন্টার কি (What Is CSC) ?
কাস্টম হায়ারিং সেন্টার-এর অর্থ ভারতের মতো দেশে একটি সমবায় চাষের ধারণা। সরকার কম বাজেটে অধিক সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার চায় যে প্রতিটি গ্রামে একটি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার স্থাপন করা হোক, যেখানে সব ধরনের দরকারী আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম পাওয়া যায় এবং সেই গ্রামের নিবন্ধিত কৃষকরাও এটি ব্যবহার করতে পারে। এটি একটি অনন্য ধারণা।
এইভাবে, সরকার কৃষকদের স্বার্থে বহু বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। এটি সুস্পষ্ট যে দেশে কৃষি যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে কৃষকদের চাষের খরচ বেশি এবং মুনাফা কমছে। কৃষিতে খরচ কমানো মানেই মুনাফা বাড়ানো। উচ্চ খরচের কারণে ভারতীয় কৃষকরা বিদেশী কৃষকদের তুলনায় পিছিয়ে আছে। এজন্য কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের প্রয়োজন আছে, এই চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাস্টম হায়ারিং সেন্টার স্থাপনে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে।
২৪৬ টি পঞ্চায়েতে ২৫০ কোটি টাকার কৃষি মেশিন দেওয়া হবে -
ধান চাষের জন্য অধিকাংশ কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। আর পাঞ্জাব ধান উৎপাদনের জন্য খ্যাত। চাষে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে কৃষকদের খরচ এবং কাজ সহজ হয়ে যায়। অনেক সময় কৃষকরা শ্রমিক পায় না, যার কারণে তাদের কাজ বিলম্বিত হয়। আর এমতাবস্থায় অবস্থায় মাঝে মাঝে ফসলও নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিকীকৃত কৃষিতে ন্যূনতম শ্রম প্রয়োজন। এই প্রকল্পের অধীনে, পাঞ্জাব সরকার ২৪৬ টি পঞ্চায়েতে ২৫০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। কৃষি পরিচালক সুখদেব সিং সিধু বলছেন, প্রায় ৪৩০ ধরনের কার্যকরী কৃষি মেশিন বিভাগ দ্বারা বিতরণ করা হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন বেলার, বপন মেশিন, থ্রেশার (ডাউনি মেশিন), ফসল কাটার মেশিন ইত্যাদি প্রথমে সমবায় সমিতিকে (PACS) দেওয়া হবে।
এরপরে যদি PACS- এর কাছে এই ধরনের সরঞ্জাম উপলব্ধ হয়, তাহলে এটি সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য কাস্টম হায়ারিং সেন্টার-এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে। পাঞ্জাব সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব PACS- এর হাতে তুলে দেবে। প্রথম পর্যায়ে, প্রায় ১৮৫ টি প্যাকসকে এই কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে, যা একটি ফার্ম মেশিনারি ব্যাংক হিসাবে গঠন করা হবে।
কৃষকরাও ৫০ থেকে ৮০% অনুদান পাবেন (Subsidy on agri machinery) -
সুখদেব সিং সিধু বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপে, এই প্রকল্পের আওতায় আবেদনকারী কৃষকদের ৫০ থেকে ৮০% ভর্তুকি দেওয়া হবে। ২-৪ ঠা আগস্টের মধ্যে যন্ত্রপাতি পোর্টালটি পুনরায় খোলা হবে। এবং প্রথমে কৃষক উৎপাদনকারী সংস্থা (FPO) এবং PACS থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে।
ডিএসআর প্রযুক্তি ধান চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে (Training on paddy farming) -
সিধু জানিয়েছেন, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান ছাড়াও পাঞ্জাবের কৃষকদের জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও খোলা হবে। একটি অনুমান অনুসারে, তিনি বলেছেন যে, রাজ্য জুড়ে প্রায় ১০১৫ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সচেতনতা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
এই কেন্দ্রে কৃষকদের অনেক আধুনিক সরঞ্জামের প্রয়োগ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে। এর বাইরে, প্রযুক্তির সহায়তায় ধান রোপণ শেখাবে ডিএসআর।
মেশিনারি সাবসিডি সম্পর্কে আরও জানতে লগ ইন করুন
https://agrimachinery.nic.in/Index/Index
আরও পড়ুন - PM KISAN Update - নবম কিস্তি প্রেরণ শুরু পিএম কিষানের আওতায়, অর্থ না পেলে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে