আপনি যদি দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন, অথবা নিম্ন মধ্যবিত্ত, শ্রমিক, কৃষক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন (যাদের উপার্জন অত্যন্ত কম) এবং পাশাপাশি নিজের এবং নিজের পরিবারের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে চান, তবে আপনি ভারত সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন, বাস্তবে। দরিদ্রদের জন্য ভারত সরকারের রয়েছে ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ (Aam Aadmi Bima Yojana)।
সরকারের এই প্রকল্প-এর লক্ষ্য হ'ল দরিদ্র মানুষের জীবনে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষাও প্রদান করা। এই উদ্দেশ্যে লাইফ ইন্সিওরেন্স কর্পোরেশন আম আদমি বিমা যোজনা প্রচলন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় বীমাকারীদের অনেকগুলি সুবিধা প্রদান করা হয়।।
ঠিক কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এই প্রকল্পের আওতায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত
এলআইসি আম আদমী বীমা প্রকল্পের সুবিধা -
-
বীমাকারীদের প্রাকৃতিক বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর পাশাপাশি প্রতিবন্ধিতাও এই প্রকল্পের আওতায় আসে।
-
বীমা সময়কালে, বীমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি স্বাভাবিকভাবে মারা যান, তবে নমিনী রয়েছেন যিনি, তাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
-
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
-
Permanent Total Disability অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে প্রতিবন্ধী হলে ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয় ।
-
দৃষ্টিহীনতা এবং শারীরিকভাবে স্থায়ী অক্ষমতার জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। যদি বীমাকৃত ব্যক্তির সাথে এরূপ কোন ঘটনা ঘটে তবে ওই ব্যক্তি ৩৭,৫০০ টাকা পাবেন।
আরও পড়ুন - ‘মেরা রেশন’ - নতুন রেশন অ্যাপ প্রচলন, ৮১ কোটিরও বেশি মানুষকে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য সরবরাহ
শিশুরা বৃত্তি পায় -
যদি বীমা প্রাপকের মৃত্যু হয়, তবে তার উত্তরাধিকারীদেররও বৃত্তি সুবিধা দেওয়া হয়। এটি একটি অ্যাড-অন পরিষেবা, যার অধীনে ২ জন শিশু স্কলারশিপের সুবিধা পাবে, যারা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।
এই প্রকল্পের অধীনে তাদের প্রতি মাসে ১০০ করে টাকা দেওয়া হবে। যদি বীমাকারী ব্যক্তির সাথে কোন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তবে এলআইসি এনইএফটি বা অ্যাকাউন্ট ক্রেডিটের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করে।
প্রকল্পটি গ্রহণের জন্য বয়সসীমা -
বীমাকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। মনে রাখবেন যে, আবেদনকারীর পরিবার দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা আবশ্যক। এই প্রকল্পের আওতায় ৪৮ টি ব্যবসায়িক দল গঠন করা হয়েছে। এতে জড়িত ব্যক্তিরা এই স্কিমটির সুবিধা নিতে পারেন। এ ছাড়া পরিবারের একজন সদস্যই এই প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা পাবেন।
মাত্র ১০০ টাকার প্রিমিয়াম -
এই স্কিমের বার্ষিক প্রিমিয়াম কেবলমাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে সরকার ১০০ টাকা জমা দেয়, অবশিষ্ট অর্থ অর্থাৎ বাকি ১০০ টাকা বীমাকারী ব্যক্তিকে জমা দিতে হবে। যদি বীমাকারী ব্যক্তি গ্রামীণ অঞ্চলের হয়ে থাকেন, তার জমি না থাকে এবং নির্ধারিত ৪৮ টি ব্যবসায়িক দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন, তবে তাকে ১০০ টাকা দিতে হবে না।
তিন শ্রেণীর মানুষ এই প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবেন -
১) দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষরা।
২) গ্রামাঞ্চলের লোক যাদের জমি নেই।
৩) এছাড়া নির্ধারিত ৪৮ টি ব্যবসায়িক দলের অন্তর্ভুক্ত যারা শ্রমিক, ছুতোর, মৎস্যজীবী, হস্তশিল্পের ব্যবসায়ী ইত্যাদি মানুষ।