বিগত ৪ ঠা জানুয়ারি নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ‘চোখের আলো’ প্রকল্প ঘোষণা করেন। পরদিনই রাজ্যজুড়ে শিবির করে শুরু হয় প্রকল্পের কর্মকাণ্ড। আগামী তিন মাস ব্যাপী এই কার্য চলবে বলে জানা গেছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত এলাকা এবং পুর এলাকায় চক্ষু পরীক্ষার শিবির আয়োজন করে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় ছানি অপারেশন এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সুরাহা করা হচ্ছে। প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এককালীন সাম্মানিক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আড়াই লাখেরও বেশি মানুষকে পরিষেবা -
মাত্র সতেরো দিনে অসামান্য সাফল্য লাভ করেছে এই প্রকল্প। ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় (৫২৯ টি প্রত্যন্ত অঞ্চল ও ৮৫টি পুর-এলাকায়) আড়াই লাখেরও বেশি মানুষের ঘরে গিয়ে চক্ষুরোগের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল, নার্সিংহোম ব্যতিরেকে বাড়ির সামনেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকমণ্ডলী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় এই পরিষেবা পেয়ে রাজ্যবাসীও যারপরনাই আনন্দিত। উল্লেখ্য, প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের বড় অংশই রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের।
স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের শীর্ষে রয়েছে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলা। ওই জেলায় প্রায় ২৫ হাজার নাগরিক পরিষেবা পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে হুগলি, এরপর নদীয়া জেলা। রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালকে এই কর্মসূচি শুরু করার জন্য ঘোষণা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
রাজ্যের লক্ষাধিক মানুষের চোখে নতুন আশার আলো জাগিয়েছে এই প্রকল্প।