কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও যাতে আর্থিক ক্ষতি না হয়, সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কৃষকদের উদ্দেশ্যে ‘বাংলা শস্য বীমা’ যোজনা প্রচলন করেছে । তাই সকল কৃষকেরই উচিৎ এই বীমা গ্রহণ করা। সরকার ও বীমা সংস্থাগুলির মধ্যে চুক্তি অনুসারে, সকল বীমা সংস্থা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লকে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছে। ৩১ শে আগস্টের মধ্যে করতে হবে আবেদন। কি কি সুবিধা রয়েছে এতে, সে সকল তথ্যই আজ আমরা আলোচনা করব।
কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে এই সুবিধা –
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দার্জিলিং, কালিম্পং, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ, হুগলী, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, বীরভূম, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলায় এই সুবিধা উপলব্ধ।
বাংলা শস্য বীমা যোজনায় যে নতুন বিষয়গুলির সংযোজন ঘটেছে -
-
কেসিসি (Kisan Credit Card) থাকলে লোণ এবং বীমা দুটির জন্য আবেদন করাই সহজ হবে। তবে নতুন নির্দেশিকা অনুসারে কেসিসি না থাকলেও এই বীমা করা যাবে।
-
২০১৯-২০ বর্ষেই বাঁকুড়া জেলার রবি মরসুমে বোরো ধান, গম, মুসুর, সরিষা, তিল, চীনাবাদাম এবং আলু- এই শস্যগুলি বীমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
রবি মরসুমে বোরো ধান, গম, মুসুর, সরিষা, তিল, চীনাবাদাম- এই শস্যগুলি বীমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ অর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিবহন করছে।
-
শুধুমাত্র আলু এবং আখ এই দুটি বাণিজ্যিক ফসলের জন্য কৃষককে সর্বাধিক ৪.৮৫% প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। অবশিষ্ট প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার বহন করবে।
কারা আবেদনের যোগ্য -
-
কৃষককে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
-
জমির মালিক/ভাগচাষী সকলেই বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।
-
এই স্কিম অনুসারে, আবেদনকারীরা ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হলে কেবল বীমা কভারেজ পাবেন বলে সুবিধাভোগীকে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতির সঠিক প্রমাণ এবং জমির দলিল সহ প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি –
অনলাইন আবেদন পদ্ধতি –
অনলাইনে এই ‘বাংলা ফসল বীমা’ যোজনার আবেদন করতে হলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘মাটির কথা’ থেকে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। নিম্নে তার লিঙ্ক দেওয়া হল-
এই প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কৃষক উপরোক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে ফার্মার কর্নার-এ নিজের নাম নথিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় তথ্য পরস্পর পূরণ করে সাবমিট করতে পারেন।
অফলাইন আবেদন পদ্ধতি -
অফলাইনে আবেদনের জন্য এই ফর্ম কৃষকরা নিকটবর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত, কিষাণ মান্ডি বা ব্লক অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
আরও পড়ুন - Kisan Credit Card – বাড়ি বসেই পেয়ে যান কিষান ক্রেডিট কার্ড, এখনই করুন আবেদন
ফর্ম পূরণ -
কৃষকের নাম, পিতার/স্বামীর নাম, ঠিকানা- মৌজা/গ্রামের নাম ইত্যাদি তথ্য কৃষককে পূরণ করতে হবে। অধিসূচিত ফসল অর্থাৎ কোন ফসলের জন্য বীমা করছেন, জমির পরিমাণ এবং জমির দলিল, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকলে তার নম্বর ইত্যাদি সকল তথ্য বিশদে পূরণ করার পর ফর্মে কৃষকের নিজস্ব স্বাক্ষর করতে হবে অথবা আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এরপর তা জমা দিন।
বিশদ তথ্যের জন্য, (ADA) অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন বা টোল ফ্রি নাম্বারে ১৮০০-১০৩-১১০০ কল করতে পারেন।
আরও পড়ুন - WB Lakshmi Bhandar Scheme - লক্ষ্মী ভাণ্ডার আবেদন শুরু, কারা কারা পাবেন জানুন বিস্তারিত