কথায় আছে শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত। তাই প্রতিটি শিশুই জন্ম নিক সুস্থ ভাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই রাজ্যের শিশুস্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে চিন্তাশীল।পশ্চিমবঙ্গের শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং উন্নতির জন্য, রাজ্য সরকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি হাসপাতালের সাথে হাত মিলিয়েছে প্রতি বছর ৩,০০০ শিশুকে বিনামূল্যে পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি প্রদান করার জন্য 'শিশুসাথী' প্রকল্পটি চালু করা হয়।
বিনামূল্যে হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারের জন্য সরকার তিনটি বেসরকারী হাসপাতাল -বিএম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার, কলকাতার আরএন ঠাকুর ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস এবং দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালের সাথে চুক্তি করেছে৷ শেঠ সুখলাল মেমোরিয়াল হাসপাতাল, বিসি রায় মেমোরিয়াল হাসপাতাল ফর চিলড্রেন এবং আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এই সমস্ত সরকারি হাসপাতালে শিশুদের যত্নের জন্য অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য়
বহু শিশুই জন্মগত হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যা নিয়ে জন্মায়।কোন শিশুর যদি হৃদযন্ত্রে ছিদ্র অথবা হার্টের রক্ত চলাচলের মত সমস্যা থাকে তাহলে বিনামূল্যে তার চিকিৎসা করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৩ সালের অগস্ট মাসে ‘বিশ্ব হৃদয় দিবস’ অর্থাৎ ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’ উপলক্ষে ‘শিশু সাথী’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন।
এই প্রকল্পের মাধ্য়মে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে
শিশুরা হৃদরোগ আক্রান্ত কিনা তা সনাক্ত করতে সরকারি স্কুলগুলিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে।
এই প্রকল্পের মাধ্য়মে রাজ্য সরকার ১২ বছর বয়স পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে কার্ডিয়াক সার্জারি প্রদান করে।
শিশু সাথী প্রকল্পে সুবিধে নেওয়ার জন্য কী কী নথি প্রয়োজন
শিশুর অবশ্যই আধার কার্ড থাকতে হবে।
শিশুর অভিভাবকের ভোটার কার্ড থাকাও বাধ্যতামূলক।
এই প্রকল্পের অধীনে সুযোগ পেতে গেলে আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
এই প্রকল্পের জন্য আবেদন কিভাবে করবেন
আপনাকে প্রথমে http://www.wbpublibnet.gov.in/node/1906 এই ওয়েব সাইটে যেতে হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর ‘পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাথী যোজনা’ বিভাগে গিয়ে আবেদনপত্রে ক্লিক করতে হবে।
এরপর আবেদন পত্র ডাউনলোড করে তাতে সম্পূর্ন সঠিক তথ্য় পুরন করতে হবে।
সমস্ত তথ্য পূরণ করার পরে, আবেদনপত্রটি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জমা দিতে হবে।