প্রেম চাঁদ শর্মা নামে উত্তরাখণ্ড (দেরাদুন)-এ বসবাসরত আনারওয়ালেমাশর্মাজি নামে পরিচিত প্রেম চাঁদ শর্মা জৈবিকভাবে উচ্চমানের ফসলের চাষ করে রাজ্যে বৈচিত্র্যময় কৃষিতে মনোনিবেশ করার জন্য পদ্মশ্রী পুরষ্কার পেয়েছেন।
৬৩ বছর বয়সী একজন কৃষক জৈবিকভাবে উচ্চ মানের ফসল (Organic Cultivation) এবং শাকসব্জি ফলনের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি উত্তরাখণ্ডে মহারাষ্ট্রের ডালিম ফলের বৈচিত্র্য , ভাগুনা প্রচলন করেছেন।
শর্মা জি দেরাদুনের চক্রতা ব্লকের Tyuni tehsil –এর হাতাল-সেন্জ নামক আদিবাসী এলাকার একটি গ্রামে বসবাস করেন। শর্মা জি বলেন যে, তিনি স্কুল ছেড়ে দেন এবং শৈশব থেকেই তাঁর কৃষিকাজ ও কৃষিতে আগ্রহ। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি জৈব কৃষিক্ষেত্রে উচ্চমানের ফল, শাকসব্জী এবং শস্য উৎপাদনে রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে মনোনিবেশ করেছি”।
আরও পড়ুন - উন্নত জাতের ছাগল পালন করে এই মহিলা উপার্জন করছেন লক্ষাধিক (Woman Farmer Success Story)
কৃষিকাজের উপর ২০০০ সালের শুরুর দিকে তাঁর পরীক্ষা নিরিক্ষা শুরু হয়। তিনি তখন উপলব্ধি করেন যে, ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজে ফসলের উত্পাদনশীলতা অপর্যাপ্ত। এরপরে, তিনি বাজরা, ভুট্টা এবং ধান উত্পাদনকারী ক্ষেত্রকে ফলের বাগানে রূপান্তরিত করেন।
অতঃপর শর্মা জি উচ্চ ফলনশীল ডালিমের চারা উত্পাদন করার জন্য একটি নার্সারি তৈরি করেছিলেন এবং সেগুলি উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের ৩৫০ কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন।
শর্মা জি বলেন, “আমার কাজ আমার গ্রামের কৃষকদের ফল ও সবজি উৎপাদনে অগ্রগতিতে সাহায্য করেছে। ২০১৩ সালে, আমি প্রায় ২০০ কৃষক পরিবারকে একত্রিত করে ফল ও সবজি কমিটি গঠন করেছি এবং গ্রামের অনেক যুবকও এ জাতীয় অগ্রগতি দেখে এবং ফল এবং শাকসব্জী চাষ থেকে উপার্জন করে কৃষিতে যোগদান করেছেন”।
তিনি এই পুরষ্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, “আমি আমাদের বায়ু এবং খাদ্যকে বিশুদ্ধ করতে চাই, কারণ এই দুটিই আমাদের জীবনধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস”।
আরও পড়ুন - মাছ চাষ করে লক্ষ টাকারও বেশী আয় করছেন পশ্চিমবঙ্গের এই যুবক, জানুন তাঁর সাফল্যের কাহিনী