'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 28 July, 2021 11:08 AM IST
Lakshmi Bhandar Scheme

বাংলার মা বোনেদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রয়াসের আরও এক অধ্যায় সূচিত হতে চলেছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। রাজ্যের নারী মূলত গৃহবধূদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য ভোটের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছিলেন 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের কথা। ভোটে জিতে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসা মাত্রই সেই ঘোষণা সফল ভাবে বাস্তবায়নের পথে হাঁটলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীসভাতে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে এই প্রস্তাব। ১৬ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি চলা 'দুয়ারে সরকার' অভিযানে গৃহবধূরা উপযুক্ত পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি সমেত লিখিত দরখাস্ত জমা দিলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করে নেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী দরখাস্তকারীদের কাছে অনুরোধ করেছেন, আবেদন করার সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সঙ্গে নিয়ে যেতে। তবে যেই সব মহিলারা স্থায়ী চাকরির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা এই আবেদন করতে পারবেন না। এ ছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সমস্ত মহিলারাই আসতে পারবেন। আবেদনকারীর বয়সসীমা অবশ্যই ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

সরকারের তরফ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সফল ভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প উত্তম ভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখন থেকেই প্রচার কার্য শুরু করে দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সুবিধা পেয়ে লাভবান হবেন, এমন একজনও মহিলাও যেন প্রকল্পের আওতা থেকে বাদ না পড়েন, সেই বিষয়ে কড়া নজর রাখতে হবে। নবান্নর তরফ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা সম্পর্কে সবাইকে ওয়াকিবহাল করানোর জন্য, প্রচারপত্র তৈরী করে লিফলেট বিলিরও কাজ শুরু হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসারে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে মুখ্য সচিব, জেলায় জেলায় গ্রামীণ লোকশিল্পীদের মাধ্যমে প্রকল্প প্রচারে পথনাটিকা, লোকসংগীতের আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করতে চলেছেন। আশার বিষয় এই যে, লক্ষীর ভাণ্ডার রাজ্যের ১ কোটি ৬৯ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে সরকারি দিক থেকে অর্থনৈতিক ভাবে সহায়তা করতে চলেছে।

লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন তফসিলি ও তফসিলি উপজাতি ভুক্ত মহিলারা। মাসে ১০০০ টাকা করে এই সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলারা হাতে পেতে চলেছেন। এছাড়াও তফসিলি জাতিভুক্ত যেসব মহিলারা নন, তাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: Monsoon business ideas: বর্ষায় এই কয়েকটি ব্যাবসায় আপনিও হতে পারেন লাভবান

সরকারের এই কল্পতরু ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। বাংলার নারীদের আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল করার এই সরকারি প্রয়াস, ইতিমধ্যেই গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। বাংলার মা-বোনেদের এই প্রকল্প থেকে যথার্থই যে লক্ষ্মী লাভ হতে চলেছে তা নিয়ে কোনও দ্বিরুক্তি নেই।

আরও পড়ুন: Ayushman Golden Card – এই কার্ডে পাবেন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ, কীভাবে আবেদন করবেন দেখে নিন

English Summary: West Bengal Government Lakshmi Bhandar Scheme
Published on: 27 July 2021, 07:55 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)