সমগ্র বিশ্ব করোনার ভাইরাসের ধ্বংসযজ্ঞে উদ্বেলিত। সংক্রামিত প্রায় প্রতিটি দেশই। তবে এই রোগের কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের শিল্প সংস্থা। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা মনে করছেন যে, এই পণ্যগুলি ব্যবহার করোনার কারণ।
করোনাভাইরাস কে কেন্দ্র করে রটেছে বেশ কিছু গুজব। সম্প্রতি এরকমই এক গুজবের কারণে আইসক্রিম শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে যে, আইসক্রিম বা অন্যান্য ঠান্ডা পদার্থ খেয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। এই খবর সম্প্রচারের পর থেকে মানুষ আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ এর জন্য জারি করা লকডাউনে সকল শিল্পেরই অনেক ক্ষতি হয়েছে।
সত্য কি -
আইসক্রিম সম্পর্কে, সরকার তার বিবৃতিতে বলেছে যে এটি সম্পূর্ণ একটি গুজব এবং আইসক্রিম ও ঠাণ্ডা পানীয় খেলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে, এমন কোনও সত্যতা নেই। পিআইবি করোনা সংক্রমণের উপর আইসক্রিম প্রভাব ফেলতে পারে কি না এই বিষয়ে একটি লিঙ্কও টুইট করেছে। পিআইবি তার টুইটে বলেছে- 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে আইসক্রিম থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ নেই, এক্ষেত্রে এই দাবি সত্য হিসাবে মেনে নেওয়া যায় না। '
এছাড়াও এই বিষয়গুলি অস্বীকার করেছেন -
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনও তাদের বিবৃতিতে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, করোনা ভাইরাস মাছি বা অন্য কোনও পোকামাকড় দ্বারা ছড়ায় না, উজ্জ্বল সূর্যের আলোতে থেকেও এই রোগটি এড়ানো সম্ভব নয়। এমনকি গরম জল দিয়ে স্নান বা গরম খাবার ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে করোনাকে এড়ানো যায়, এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। বর্তমানে, এটি এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হ'ল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকার ও ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে চলা।
স্বপ্নম সেন