শরীরের মধ্যে পাথর বর্তমানে একটি সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ রোগ বলা হচ্ছে এই কারণেই যে বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকের ঘরে কম বেশি দেখা যায় এই রোগ। বেশি দেখা যায় কিডনিতে পাথর। সঠিক সময় অপারেশন এবং ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ নিলে সেরে যায়। কিন্তু এই সময় যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে পেরোতে হয় রোগীদের সঙ্গে থাকে পরিবারের মানসিক অবস্থা। সব মিলিয়ে যদি নিজেদের শরীরের দিকে একটু খেয়াল রাখা যায় তাহলেই এড়ানো যাবে এই রোগ।
পানির অপর্যাপ্ততা
শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম প্রধান অস্ত্র জল। আপনি যদি সারাদিন পর্যাপ্ত জলপান করেন তাহলে বহু রোগ আপনার শরীর থেকে দূরে থাকবে। তবে বেশি জল পানও ভালো নয়। তাই শরীরে যতটা প্রয়োজন ততটাই জল পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ২ গ্লাস জল পান করুন এবং রাতে শোয়ার আগে ১ গ্লাস। এছাড়াও সারাদিন যতটা প্রয়োজনীয় ততটা জল পান করুন।
আরও পড়ুনঃ বাসমতির জাতঃ সাশ্রয় করুন জল এবং খরচ! এই ধানের জাত থেকে হবে লক্ষ্মীলাভ
খাদ্য পুষ্টির ঘাটতি
পুষ্টির অভাব এবং খাবারে ভুল জিনিসের উপস্থিতির কারনেও পাথরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অক্সালেট, ক্যালসিয়াম, ইউরিক অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবার বেশি গ্রহনের ফলে শরীরে পাথর তৈরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য
আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার রাখুন। খাবারে ইউরিক অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ কম করুন। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ফল, সব্জি এবং গোটা শস্য অবশ্যই রাখুন।
আরও পড়ুনঃ দিনে কটা রুটি খান? শরীরে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
লবনের পরিমাণ
অতিরিক্ত লবন খেলে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। খাবারে লবনের পরিমাণ সীমিত করুন এবং সঠিক স্বাদ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা পাথর প্রতিরোধে সাহাজ্য করতে পারে। এটি মূত্রাশয়কে পরিষ্কার এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি নিকোটিন, অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন ইত্যাদি গুলি গ্রহনের পরিমাণ কমিয়ে দিন।