পেয়ারা (Guava) ফলটি কম বেশী আমাদের সকলের প্রিয়, আর যদি এই সুস্বাদু দেশীয় ফলটির ঔষধি গুণ ও উপকারীতা আমরা জানতে পারি, তাহলে কে না চাইবে এই ফলটি রোজ একটা করে অন্তত খেতে। কথায় আছে ‘ One apple a day keeps doctor away’। এই কথাটি কিন্তু পেয়ারার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। রোজ একটি করে পেয়ারা খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এমনকি কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধিকেও দূরে রাখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই পেয়ারার চাষ হয়। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুর অঞ্চল পেয়ারার জন্য প্রসিদ্ধ।
পেয়ারা পাতাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় তা আমাদের শরীরের থেকে বিভিন্ন রোগকে দূরে রাখতে সহায়তা করে৷ তবে এটি চুলের জন্যও যথেষ্ট উপকারী৷ চুলে পেয়ারা পাতা পেস্ট করে লাগালে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয় বলে অনেকের দাবি৷
আসুন আমরা জেনে নি পেয়ারা আর পেয়ারা পাতার উপকারী গুণগুলি (Benefits of Guava leaves)–
-
পেয়ারা ক্ষারীয় প্রকৃতির ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পন্ন অ্যাসটিনজেন্ট পদার্থ থাকে যা উদরাময় ও আমাশয় উপশমে সহায়তা করে।
-
পেয়ারার রস বা পেয়ারা পাতার নির্যাস দাঁতের যন্ত্রনা, দাঁতের মাড়ি ফোলা ,মুখের ক্ষত ও সর্দি-কাশি সারাতে সাহায্য করে।
-
পেয়ারা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে রক্তচাপ কমায়।
-
পেয়ারায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
-
এতে লাইকোপিন থাকে যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
-
পেয়ারা পাতা ও ছাল ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
-
পরিপাক তন্ত্রের অসুবিধা হলে যেমন অম্লরোগ, বমি-বমি ভাব প্রভৃতিতে টাটকা পেয়ারা পাতার রস ব্যবহার করা হয়।
-
পেয়ারায় প্রচুর পরিমানে তন্তু বা ডায়েটরি ফাইবার থাকায় এটি খেলে কোষ্ঠ বদ্ধতা দূর হয়।
-
পেয়ারা স্থূলত্ব বা ওবেসিটি কমাতে সাহায্য করে।
-
শুকনো পাতার গুঁড়ো বাতের যন্ত্রণা উপশমে ব্যবহার করা হয়।
-
পেয়ারা পাতার চা আমাদের পরিপাকে বিশেষ সাহায্য করে৷ এছাড়া বমি বমি ভাব রুখতে সক্ষম৷
-
পেট ব্যাথা কমাতে, দেড় লিটার জলে ৬-৭ টি পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে তা দিনে দু-তিনবার পান করা যেতে পারে৷
-
ডেঙ্গির জ্বর কমাতে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা হয়৷ রক্তে প্লেটলেট সংখ্যা বাড়ায় এটি৷ ৫ কাপ জলে ৮-৯ টি পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে তা ঠান্ডা করে দিনে তিনবার পান করা হয়৷