Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 22 August, 2020 10:50 PM IST
Bitter cumin

"Botanical name: Glinus oppositifolius

Family: Molluginaceae

এই শাকটি সম্বন্ধে জানেন সেটি বলা মুশকিল। অনেক শাক-সব্জীর সাথে পরিচয় থাকলেও এটা নিতান্তই অবহেলিত হবার কারনে এটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আবার হয়তো আমরা অনেকেই জানি। গ্রাম গঞ্জে বা মফ:স্বলে হয়তো কখনো কখনো খুব limited scale এ বিক্রি হতে দেখা যায়। স্যাঁতসেতে অঞ্চল বা পুকুর ধারে, নালার পাশে এটি জন্মায়। সাদা ছোট ছোট ফুল হয়। বীজ হতে আমি দেখিনি (কেউ জানলে বলবেন)। বংশবিস্তার হয় stem cutting থেকে। আমিও সেভাবেই লাগিয়েছি।

গিমে শাকের লতানো শাখা-প্রশাখা গুচ্ছাকারে গাছের গোড়া থেকে চারদিকে ছড়িয়ে ভূমির/মাটির উপর দিকে বেয়ে চলে। সরু লতার পত্রসন্ধি থেকে বিপরীতমুখী হয়ে ছোট ছোট পাতা বের হয়। পাতার আকার ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। সবুজ ছোট ছোট পাতাসহ কচি আগা/ডগা খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তিক্ত স্বাদের। এটি একেক অঞ্চলে একেক নামে পরিচিত। কোথাও টিমে, আবার কোথাও গিমা বা জিমা নামে অভিহিত হয়। সংস্কৃতে এটি পরিচিত গ্রীষ্ম সুন্দরক হিসেবে। 

ঔষধি গুন (Medicinal properties) -

১। অম্লপিত্ত রোগে যাদের বমি হয়, তারা গিমে পাতার ১ চামচ রস জলের মিশিয়ে সকালে খেলে অচিরেই বমিভাব দূর হবে।

২। চোখ উঠলে বা চোখে পিচুটি পড়লে গিমে পাতা সেকে নিয়ে তার রস ফোঁটা ফোঁটা করে চোখে দিলে চোখের করকরানি কমে, পিচুটি পড়া বন্ধ হয়।

৩। লিভারের সমস্যা দেখা দিলে সপ্তাহে ৩/৪ দিন অল্প পরিমাণে ‍গিমে শাক ব্যবহার করলে যকৃতের ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে আসে। তাই কেউ জন্ডিস এ আক্রান্ত হলে, এটি নিয়মিত সেবন করা উচিত।

৪। গিমে শাক বেটে গায়ে মাখলে চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সেরে যায়।

৫। মহিলারা ডিসমেনোরিয়ায় (কষ্টরজঃ) ভুগলে গিমে শাক খেলে সে সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। তবে যাদের স্রাবের অধিক্য আছে তারা এটা না খাওয়া উচিত।

কিন্তু বর্তমান সময়ে অন্যান্য অনেক গাছের ন্যায় এই শাকও বিলুপ্তির পথে। গাছটির গুনাগুণ সম্পর্কে না জানা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পতিত জায়গা কমে যাওয়া এছাড়া বাণিজ্যিক কৃষির প্রভাবসহ ব্যবহার ও সংরক্ষণের অভাব গাছটি বিলুপ্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এর পেছনে অনেকাংশে প্রভাব রাখছে। বাজার নির্ভরশীলতা ও বাজারে ঔষধ সহজলভ্য হওয়ার কারণেও এটির ব্যবহার থেকে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। মানুষ জেনে না জেনে নানাভাবে এ প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করে চলেছে।

তাই আসুন সকলে এটির সংরক্ষনের চেষ্টায় উদ্যোগী হই।

Image source - Google

Related link - 

(Management of weeds) সুসংগত উপায়ে ফসলের আগাছা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

(Herbicides on crops) গুরুত্বপূর্ণ কিছু সবজী ফসলের আগাছানাশক স্প্রে করার সময়সূচী

(Effects of weeds on vegetable crops) আগাছার প্রকারভেদ ও সবজী ফসলে আগাছার প্রভাব

English Summary: Health benefits of bitter cumin
Published on: 22 August 2020, 09:36 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)