আনারস, এটি একটি গুচ্ছ ফল৷ এর বিজ্ঞানসম্মত নাম Ananas comosus. এর আদি জন্মস্থল দক্ষিণ আমেরিকা৷
আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ফল৷ বাইরে থেকে এটি যতোটাই কঠিন দেখতে, ভিতরটি ততোটাই রসালো৷ জুস করে, বা স্যালাড, বিভিন্নভাবে এই ফল খাওয়া হয়৷ প্রতি ১০০ গ্রামে আনারসে রয়েছে ৫০ কিলো ক্যালরি শক্তি। এছাড়া ভিটামিন-এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম সহ আরও নানা ধরণের উপাদান রয়েছে এতে৷
তবে আনারসের মতোই এর খোসা, যা সবসময়ই ফেলে দেওয়া হয়, তাও কিন্তু খুবই উপকারী৷ চলুন দেখে নেওয়া যাক এই খোসা আমাদের শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়৷
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা থেকে হজমশক্তি বাড়াতে আনারসের খোসা খুবই উপকারী৷ এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে৷
আনারসের খোসায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান গাঁটে ব্যাথা, আর্থ্রাইটিস-এর মতো সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে৷
এতে উপস্থিত বেটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি গ্লুকোমা-র মতো চোখের সমস্যাকে প্রতিহত করে৷
আনারসের খোসায় বিদ্যমান ম্যাঙ্গানিজ দাঁত এবং হাড় মজবুত করে৷ এছাড়া এর ভিটামিন সি মাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করে৷
আনারস কৃমিনাশক, তাই কৃমি প্রতিহত করতে এটি সকালে খাবারের তালিকায় অনেকেই রাখেন৷ তবে মনে রাখতে হবে অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে খালি পেটে আনারস খেলে সমস্যা হতে পারে৷
কিছু গবেষণা অনুযায়ী, আনারসের খোসায় উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ টিউমার, ক্যানসার হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে৷
এতে থাকা কপার লোহিত কণিকা বাড়াতে এবং রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে৷
এর ভিটামিন সি রোগ সর্দি কাশি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে এবং হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখতে হবে দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা থাকলে আনারস খেলে অসুবিধা হতে পারে৷ গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই আনারস খাওয়া উচিত৷
আনারসের খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন?
সসপ্যানে আনারসের খোসা কিছুটা ঘষে, তাতে ২ দারুচিনি, লবঙ্গ, একটু আদা দিয়ে, চার কাপ জলে, চা তৈরি করা যেতে পারে৷ এটা গরম বা ঠাণ্ডা করে খাওয়া যেতে পারে৷
আনারসের খোসা থেকে ভিনিগার তৈরি হয়৷
আনারসের খোসা ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে তা চিকেন, সবজির স্টকে দিতে পারেন, এতে তা আরও সুস্বাদু হবে৷
বর্ষা চ্যাটার্জি