পোস্ত বীজ (Poppy Seed) পাওয়া যায় আফিম গাছ থেকে । হাজার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন সভ্যতার লোকজন বীজটি চাষ করে আসছে।
পোস্তদানা দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি। তবে পোস্তদানায় যে বিভিন্ন উপকারি উপাদান আছে তা আমাদের প্রায় সকলেরই অজানা। আজ আমরা জানবো পোস্ত এর বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্তদানার উপকারিতা (Benefits Of Poppy Seed) -
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতেঃ
পোস্তদানায় উপস্থিত এইধরণের ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত পোস্ত খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হিসেবে পোস্তদানাঃ
এক টেবিল চামচ পোস্তদানায় থাকা ৮% মিনারেল ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট প্রতিরক্ষায় উপকারী ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
অ্যালঝাইমার্স আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমেঃ
তাই রোজ পোস্ত খাওয়ার অভ্যেস থাকা ব্যক্তির অ্যালঝাইমার্স-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
জিংকের উৎস হিসেবেঃ
জিঙ্কের খুব ভালো একটি উৎস হলো এই পোস্তদানা। তাই পোস্ত খাওয়ার ফলে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে সেই ক্ষেত্রে পোস্ত খুব ভালো কাজ দেয়।
লোহিত রক্তকণিকা তৈরীতে সাহায্যঃ
শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরী জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী হলো লোহা এবং তামা। রক্তে লোহিত কণিকার অভাব হলে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পোস্তদানাতে থাকা উপাদান রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
পোস্তদানা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করেঃ
পোস্ততে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর সাথে সাথেই শিরা ও উপশিরার মধ্যে দিয়ে রক্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করেঃ
এছাড়াও পোস্ত শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমকালে অন্য কিছু না খেয়ে চেষ্টা করুন কাঁচা পোস্ত বাটা দিয়ে ভাত খাওয়ার।
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করেঃ
পোস্ততে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম থাকার ফলে পোস্তদানা ঘুমের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে। তাই কখনো ঘুমের সমস্যা হলে পোস্তর ব্যবহার শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
পোস্তদানা মুখের আলসার রোধ করেঃ
শরীরের ভেতরের তাপমাত্রার পরিমান বৃদ্ধি পেলে মুখে আলসার বা ঘা দেখা দিতে পারে। পোস্তদানা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং মুখের আলসার হতে বাধা দেয়।
ত্বক সংক্রমিত হতে বাধা দেয়ঃ
বিভিন্ন রকমের ত্বকের রোগ যেমন- চুলকানি বা র্যাশ-এ পোস্ত খুব দ্রুত আরাম দেয়। পোস্ত বাটার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। এরপর আক্রান্ত স্থানে মোটা করে লাগিয়ে রাখুন।
স্থুলতা কমাতে সাহায্য করেঃ
পোস্ত দানা রক্তের চর্বির কমাতে সাহায্য করে, এই দানা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
পোস্তদানা এজমা সমস্যা রোধ করেঃ
পোস্ত দানা বমি বমি ভাব একটি প্রতিকারক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - হৃদরোগ প্রতিহত করতে খাদ্যতালিকায় রাখুন একটি পেঁপে (Papaya Health Benefits)