ক্যাকটেসি পরিবারের অন্তর্গত ড্রাগন ফলের উৎস মেক্সিকো হলেও আমাদের দেশে ইদানীং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এদেশে গুজরাটে সর্বপ্রথম এই ফলের চাষ শুরু হয়। ড্রাগন ফল এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় বহুবর্ষজীবী চিরহরিৎ লতা। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফল আকারে বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায় ,শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা এবং রসালো প্রকৃতির । ফলের শাঁসের মধ্যে ছোট ছোট অসংখ্য কালো বীজ থাকে এবং সেগুলি নরম। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। টেবিল ফল হিসাবেই শুধু নয়, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই ফল থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়।
পুষ্টিগুণ:
এই ফল স্বাদে-গুণে পুষ্টিতে ভরপুর। ড্রাগন ফল ভিটামিন সি, খনিজ লবণ, উচ্চ ফাইবার যুক্ত এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এতে বিদ্যমান। এছাড়াও ফলে ফ্যাট, ক্যারোটিন, প্রচুর ফসফরাস, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, প্রোটিন ,ক্যালসিয়াম, আয়রন রয়েছে। এ কারণে একে আশ্চর্য বিদেশি ফলও বলা হয়ে থাকে।
ড্রাগন ফলের গুরুত্ব:
১. ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় চোখ ভালো রাখে।
২. আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমে সহায়তা করে। এছাড়া আঁশ শরীরের চর্বি কমায়।
৩. ফলে উপস্থিত প্রোটিন শরীরের বিপাকীয় কাজে সাহায্য করে।
৪. ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে ও দাঁত মজবুত রাখে।
৫. ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক মসৃণ রাখে।
৬. ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৭. এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্ত শূন্যতা দূর হয়।
৮. ড্রাগন ফ্রুটে ফ্ল্যাভনয়েড, ফেনোলিক এসিড এবং বেটাসায়ানিন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে।
৯. ফ্যাট-ফ্রি এবং ফাইবার সম্পন্ন ড্রাগন ফ্রুট ওজন নিয়ন্ত্রনের জন্য খুবই উপকারি।
Image source - Google