কৃষিজাগরন ডেস্কঃ শীতে শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে। একদিকে যেমন বাড়ে ফ্লু ও মৌসুমি রোগের ঝুঁকি অন্যদিকে হৃদরোগও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু জানেন কি শীতের মৌসুমে কেন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আসলে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিরাগুলি সঙ্কুচিত হতে শুরু করে এবং শক্ত হয়ে যায়।
এগুলো স্বাভাবিক করার জন্য শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়তে থাকে, যা রক্তচাপ বাড়ায়। এতে হার্টের ওপর চাপ পড়ে এবং হার্ট অ্যাটাক হয়।
শীতকালে হার্ট অ্যাটাক বৃদ্ধির কারণ
পাবলিক লাইব্রেরি অফ সায়েন্স জার্নালের গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদরোগীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ঠান্ডায় ৩১ শতাংশ বেড়ে যায়। আপনি যখন রাতে ঘুমান, তখন শরীরের রক্তচাপ এবং চিনির মাত্রা কমে যায়, যা শরীরের স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র সকালে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। এই মৌসুমে এই কাজটি করতে হার্টকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।আসুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়।
শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের থেকে বাঁচার উপায়
লবণ কম খান
হার্ট সুস্থ রাখতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শীতকালে যতটা সম্ভব কম লবণ খাওয়া উচিত। আসলে লবণ শরীরে জল ধরে রাখতে কাজ করে। এই তরল পাম্প করার জন্য হার্টকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ হৃদরোগীদের জন্য টিপস: গ্রীষ্মে অনুসরণ করুন এই 5টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সীমাবদ্ধ জল পান করুন
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মানুষ কম জল পান করে, যা হার্টের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মৌসুমে বেশি জল পান করলে হৃদপিণ্ড বেশি তরল পাম্প করে। যার কারণে হার্টকে বেশি পরিশ্রম করতে হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
খুব ভোরে হাঁটতে যাবেন না
শীতকালে হৃদরোগীদের খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা উচিত নয়। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার ফলে স্নায়ু সংকুচিত হয় এবং এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যায়াম করা বা হাঁটা কঠিন হতে পারে। তাই হালকা রোদ থাকলেই বাইরে যান এবং হালকা ব্যায়াম করুন। শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
আরও পড়ুনঃ সকালে এই খাবারগুলি সেবনে বাড়ছে ক্যান্সারের প্রবনতা
তৈলাক্ত জিনিস খাবেন না
শীতের মৌসুমে মানুষ ভাজা খাবার বেশি খায়। এর ফলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পরাঠা এবং তৈলাক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।