ব্যস্ত কর্মজীবন এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের দেশে দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আমাদের দেশে দ্রুত বর্ধনশীল রোগগুলির মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস। তবে এই রোগকে হারানোর মোক্ষম অস্ত্র বাড়ির বাগানেই রয়েছে।
বাড়ির আশেপাশের জায়গায় অযত্নেই ফুটে ওঠে নয়নতারা ফুল। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী এই নয়নতারা ফুলের মধ্যেই রয়েছে ডায়াবেটিসের জন্য মোক্ষম ওষুধ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে নয়নতারা ফুল এবং পাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এর ফুল এবং পাতা সঠিকভাবে ভাবে ব্যবহার করলে তবেই নিয়ন্ত্রণে আসবে ডায়াবেটিস।
আরও পড়ুনঃ বুঝুন শিশুমনের গতিপ্রকৃতি! সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে তো আপনার খুদে?
নয়নতারা ফুলে রয়েছে সর্পেন্টাইন, আজমেলিসিন, অ্যালকালয়েড এবং ভিনক্রিস্টিন। এই উপাদান গুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে দেয়না। নয়নতারার পাতার জুস বানিয়ে প্রতিদিন সেবন করলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি এই ফুল চিবিয়েও খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ব্যাকটেরিয়া ব্যাবসাঃ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা! বঙ্গে আয়ের নতুন দিশা এখন ব্যাকটেরিয়া
এছাড়াও নয়নতারার ফুল এবং পাতার পাউডার বানিয়েও জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও এর জুস বানিয়েও পান করতে পারেন। এর স্বাদ তিক্ত হয় তাই অন্যান্য জুসের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। নয়নতারা বিভিন্ন চর্মরোগের জন্য অনেক উপকারী । এজন্য নয়নতারা গাছের পাতার রস দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের সমস্যা এবং কেটে গেলে সেই ক্ষত সেরে যায়।
নয়নতারার বৈজ্ঞানিক নাম Vinca rosea (Catharanthus roseus ) | নয়নতারা এক জনপ্রিয় ফুল | এটি দেখতেও বেশ সুন্দর | এর ইংরেজি নাম Peri Winkle | কটি বহুবর্ষজীবী, বীরুৎ শ্রেণীর উদ্ভিদ। গাছটি উচ্চতায় প্রায় দুই থেকে তিন সেন্টি মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাতা কিছুটা লম্বাটে, তবে ডিম্বাকার। পাতার মধ্য শিরা মোটা ও উজ্জ্বল বর্ণের। ফুল গোলাপি, বেগুনি রঙের হয়ে থাকে। ফল লম্বা ও চ্যাপ্টা। সারা বছরই ফুল ফল হয়। একটি পরিণত ফল থেকে অনেক গুলি বীজ পাওয়া যায়। ফুল গন্ধহীন। গাছের পাতা ও ফুল ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ জনিত রোগের উপশমে ব্যবহৃত হয়।সাধারণত জুলাই মাসে (July month) এই ফুলের চাষ ভালোভাবে করা যেতে পারে |