প্রাচীনকালে শারীরিক কোনও অসুবিধা হলে সকলে আয়ুর্বেদের সাহায্য নিত। আর এই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেই লুকিয়ে থাকত আমাদের আশেপাশে থাকা নানা জড়ি বুটির কথা। বিভিন্ন পাতা, ফুল, ফলের ঔষধি গুনের কথা। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুতেই এসেছে আধুনিকত্বের ছোঁয়া এসেছে আধুনিক চিকিৎসা। তবে আজও ওই ভেষজ উদ্ভিদের গুনাগুন কোনও অংশে কমে যায়নি।
এমনই একটি উদ্ভিদ হল মঞ্জিষ্ঠা। বৈজ্ঞানিক নাম রুবিয়া কর্ডিফোলিয়া। এটি একটি ঔষধি গাছ যা ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখে। এই উদ্ভিদটি সারা ভারতে পাওয়া যায় এবং এর বিভিন্ন অংশ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুনঃ আফিম পর্ব ১: বাঙালির প্রিয় খাবারের তালিকায় পোস্ত এল কিভাবে?
মঞ্জিষ্ঠায় পাওয়া রেজিন শরীরের জন্য উপকারী। এগুলোর রক্ত পরিশোধনকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রেজিনে পাওয়া উপাদান ত্বকের সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে। মঞ্জিষ্ঠাতে পাওয়া রেহিন একটি অ্যানথ্রাকুইনোন এবং শরীরের জন্য দরকারি। এটির বিশুদ্ধকরণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পাশাপাশি বিষাক্ততা দূর করতে সহায়তা করে। রেহিন শরীরের রক্তে সংক্রমণ দূর করতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ আফিম পর্ব ২- এই চাষে লাইসেন্স পাবেন কিভাবে? ভারত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে কিভাবে?
মঞ্জিষ্ঠায় পাওয়া অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন ট্যানিন, অ্যান্থোসায়ানিন, স্টিলবেন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদিও শরীরের জন্য উপকারী। এই উপাদানগুলি শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরের কোষগুলির গঠন এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে প্রায় সব আয়ুর্বেদিক কোম্পানিই মঞ্জিষ্ঠা ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয় এই উদ্ভিদ থেকে পাওয়া পণ্যের দামও হাজার টাকা পর্যন্ত। মঞ্জিষ্ঠার পুরো উদ্ভিদটি ওষধি গুনে পরিপূর্ণ, তবে সাধারণত শুধুমাত্র রজনযুক্ত অংশগুলি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।