চলছে শীতের মরশুম। ঘুম ভাঙছে কুয়াশার চাদরে মোড়া সকাল দেখে। বাজার রঙিন হয়ে উঠেছে টাটকা শাকসবজি সমারোহে। খেজুর গুড়ের গন্ধ, পিঠে পুলি সহকারে শীতের আমেজ এখন জমজমাট। এই আবহাওয়া কিঞ্চিতে কিঞ্চিতে উপভোগ করছে শহরবাসী। শীতকাল মানেই সকলের মাথায় উঠে আসে বিভিন্ন শাকসবজির কথা। কারন এই মরশুমে বাজারে উঠে আসে বিভিন্ন টাটকা সবজি। এগুলির মধ্যে অন্যতম হল ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, বিট, মুলো, টমেটো, ধনে পাতা এবং বিভিন্ন শাক। তবে এই সময় খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি উঠে আসে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি। তবে ফুলকপি খাবারের তালিকায় রাখা ঠিক কতটা জরুরি? কোনও গুন রয়েছে এই সবজির মধ্যে? কি বলছে বিশেষজ্ঞরা? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ বাংলার মাথায় নয়া পালক! ইউনেসকোর স্বীকৃতি লাভ কলকাতার দুর্গাপুজোর
ফুলকপি নাম শুনলেই সকলের মাথায় আসে যে হজম হতে চায়না এই সবজি। পেটে সমস্যার সৃষ্টি করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই সবজি হজম শক্তি অনেক উন্নত করে। পাশাপাশি যাবতীয় দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে।
ফুলকপির আরও একটি অন্যতম সেরা গুন হল এটি শরীরে থাকা ক্যানসারের কোষগুলি ধ্বংস করে। স্তন ক্যানসারের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে ফুলকপি। তাছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই সবজি। ফলে ত্বকের ক্যানসারের ঝুকি কমায় ফুলকপি।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। ফলে হাড় মজবুত এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই সবজি।
স্নায়ুর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ফুলকপি। অ্যালজাইমার্স বা স্মৃতিভ্রংশের মত রোগের ঝুঁকি কমায় এই সবজি।
আরও পড়ুনঃ দিনের শুরু হয় এক কাপ চা এ, জানেন আজকের দিনে চায়ের তাৎপর্য কি?
রূপচর্চার দিকেও অবদান রয়েছে ফুলকপির। ত্বকের সঙ্গে চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের উপায় হল এই সবজি। যাদের চুল পড়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে তারা তাঁদের খাবারের তালিকায় এই সবজি রোজ রাখতে পারেন।
ফুলকপিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। যেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি শরীরে অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে এই সবজি।