মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন প্রকল্প: সাধারণ মানুষের জন্য কী সুবিধা? এই ভারতীয় জাতের মুরগি হাঁস-মুরগি পালনের জন্য সেরা, ডিম এবং মাংস থেকে দ্বিগুণ লাভ করুন সরাসরি বাজারে নয়, FPO-র মাধ্যমে বেশি দাম পেতে কী করবেন?
Updated on: 2 June, 2018 4:05 AM IST

দেশে কৃষক আত্মহত্যার পরিমান বেড়েই চলেছে। বরাগড় জেলার বারপলি গ্রামের জুলাই গ্রামে এক কৃষক কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন গত ৩০শে মে। গোবর্ধন বারিক তার ফসলের ক্ষতি দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারননি, এই সপ্তাহের অসময়ে ঝড় বৃষ্টি তাঁর প্রায় পুরো জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছিল। পারিবারিক সুত্রে জানা যাচ্ছে ধান জমি থেকে ফেরার পর বারিক বাবু মনমরা হয়ে পড়েছিলেন। এরপর তিনি বাড়ির দোতলায় যান ও কীটনাশক খেয়ে নেন। কিছুক্ষণ বাদে তিনি পারিবারিক আত্মীয় সুদাম বারিককে তাঁর আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এরপর সুদাম অন্যান্য আত্মীয়কে একথা জানালে সবাই মিলে তাকে বরাগড় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে তাঁকে বীর সুরেন্দ্র সাঁই ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ (VIMSAR) এ পাঠানো হয়, বৃহস্পতি বার তিনি এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দুই একর জমিতে বারিক বাবু চাষ করেছিলেন, স্থানীয় সমবায় সমিতি থেকে ও পাড়ার লোকজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে। তিনি প্রায় দুলক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বীজ ও কীটনাশক কেনার জন্য। বারিকবাবুর শব দেহ যখন গ্রামে পৌঁছায় তখন সকলেই শোকার্ত হয়ে পড়েন। বারিকবাবুর এই মর্মান্তিক ঘটনার সাথে সাথেই আরও এরকম ঘটনার কথা উঠে আসছে যেমন, এমাসেরই ৩ তারিখ কানবার গ্রামের অঙ্কুর বারিক জেলা কার্ষাধক্ষ্যের সামনেই কীটনাশক খেয়ে নেন এবং একই গ্রামের নিরঞ্জন ভৌই ও একই কান্ড ঘটায়। যদিও দুজনকেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

কৃষকদের এই আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রচেষ্টা আবার আমাদের দেশে ফসল সুরক্ষার ব্যাপারটিকে সামনে এনে দিয়েছে। ফসলের ক্ষতির জন্য ‘ফসল বিমা যোজনা’ যদি সঠিক ভাবে রূপায়িত হত তবে হয়ত এই সমস্ত ঘটনা এড়ানো যেত।

- তন্ময় কর্মকার

English Summary: farmer's suicide
Published on: 02 June 2018, 04:04 IST