গত ২১ জানুয়ারী, হুগলির সিঙ্গুরে দেশের প্রথম সৌরবিদ্যুৎ চালিত সব্জি সংরক্ষণ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। জাপানের ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি বা জাইকার আর্থিক সহায়তায় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে তাপসী মালিক কৃষকবাজারে এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই সংরক্ষণ কেন্দ্রে ৩০ টন বিভিন্ন সব্জি ও ফল সংরক্ষণ করা যাবে। ঘরটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেলফ চার্জিং টেকনোলজির মাধ্যমে ২৮ কিলোওয়াটের সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। কিন্তু, এই কেন্দ্রটি চালাতে ২৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে। তাই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। চলতি বছরেই উত্তরবঙ্গে আরও দু’টি এবং আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে মোট ১০০টি সৌরবিদ্যুৎ চালিত সব্জি সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
সংরক্ষণ কেন্দ্রটি চালাতে প্রতিবছর গড়ে ৯০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এই কক্ষগুলির তাপমাত্রা সবসময় ১৬ থেকে ২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখা হবে। অমিতবাবু বলেন, কৃষিকাজই বাংলার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাই কৃষি ও কৃষিজ পণ্যের যথাযথ ব্যবহারের উপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অমিতবাবু বলেন, এই ধরনের সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করলে সব্জি নষ্ট হওয়া ও অভাবী বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি চাষিদের আয় প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন সিমা - প্যারিসের আন্তর্জাতিক কৃষি বানিজ্য প্রদর্শনী
এই কেন্দ্রগুলিতে সংরক্ষণ করে রাখা সব্জি বা ফলের গুণের কোনও পরিবর্তন হবে না। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণের ফলে হিমঘরে সংরক্ষণ করা জিনিসগুলি বাইরে আনার পর যত দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এক্ষেত্রে তা হবে না।
কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটিতে সাধারণ চাষিরা তাঁদের সব্জি সংরক্ষণ করতে পারবেন না। বর্তমানে শুধুমাত্র সুফল বাংলা প্রকল্পের আওতায় থাকা তাপসী মালিক কৃষক বাজারের নথিভুক্ত কৃষকরাই ন্যূনতম খরচে সব্জি রাখাতে পারবেন।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)