সৌদি খেজুর চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওবায়দুল ইসলাম রুবেল নামে এক যুবক। তিনি নাচোল উপজেলার ভেরেন্ডি এলাকার বাসিন্দা। সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুরের বাগান করে সফলতা পান এ চাষি। এখন তার বাগানে আছে হলুদ ও গাঢ় লাল রঙের অনেক খেজুর।
স্বাদে ও দেখতে সৌদি খেজুরের মতো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। এতে কর্ম সংস্থান হয়েছে অনেক বেকার যুকবের। কৃষি বিভাগ বলছে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের মতোই তাই এ খেজুরের ভালো ফলন হচ্ছে।
সাফল্যের কাহিনী:
ওবায়দুল ইসলাম রুবেল জানান, ২০১৭ সালে সৌদি আরব থেকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বীজ এনে বাড়ির পাশে ১ একর জমিতে খেজুরের বাগান করেছেন তিনি। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করেছেন। আর এখন খেজুর বিক্রি করেছেন প্রতিকেজি ১০০০-১২০০ টাকা হদুলটা ও ২৫০০-৩০০০ টাকা লালটা।
আরও পড়ুন -Sesbania grandiflora cultivation process: জেনে নিন বকফুল চাষের বিস্তারিত পদ্ধতি
তিনি আরও জানান, এ বছর প্রায় ৫ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছেন তিনি। আর এখন গাছে অনেক খেজুর আছে। গত বছর প্রায় ১৬ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছিলেন তিনি। এখন দিন দিন গাছ বড় হবে ফল আসার পরিমাণও বাড়বে। গত বছর এ গাছগুলোতে খেজুর ধরেছিল গড়ে প্রায় ৭০ কেজি এবার ধরেছে ১০০ কেজির উপরে। তার বাগান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেজুর গাছের চারা কিনে নিয়ে গেছেন অনেকে |
নাসীম নামে খেজুর বাগানের এক কর্মী জানান, তিনি বেকার ঘুড়ে বেড়াচ্ছিলেন কিন্তু বর্তমানে তিনি রুবেলের খেজুর বাগানের পরিচর্যা করেন। এবং এই কাজ করে তিনি মাসে ১০ হাজার টাকা পান |
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, নাচোলের খেজুর এখন সারা দেশে সরবারহ হচ্ছে। যেহেতু জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের মতোই। তিনি আরও জানান, আমের দাম কম হওয়ার জেলায় অনেক মানুষ খেজুর চাষে ঝুঁকছেন।
আরও পড়ুন - Successful bean farming: বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গায় অটো জাতের শিম চাষে কৃষকদের ব্যাপক সাফল্য