পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হরিণঘাটা ব্লকের অন্তর্গত বারাসাত হাড়িপুকুরিয়া গ্রামের মাঝ বয়সী কৃষক শরিফুল মিঞা। মাধ্যমিক পাশ করার পর পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও জীবন জীবিকার তাগিদে পারিবারিক কৃষি কার্যের সাথে জড়িয়ে পরে শরিফুল।
কৃষকের জীবনী (Farmer's Story) -
চার সদস্য বিশিষ্ট শরিফুলের পরিবারের জীবিকা সম্পূর্ণভাবে সবজি চাষের উপরেই নির্ভরশীল। দীর্ঘ দুই দশক ধরে চাষের কাজে যুক্ত থাকার দরুন অভিজ্ঞতাও কম নয়। আর এই অভিজ্ঞতা অনেকটাই অর্জন করেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন (Reliance Foundation) -এর বিভিন্ন ভার্চুয়াল ট্রেনিং এবং হেল্পলাইন নম্বর এর মাধ্যমে পেশাদারি পরামর্শদাতার মাধ্যমে।
গত মরশুমে তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছিল শরিফুল। দুর্ভাগ্যবশতঃ, চারা লাগানোর কয়েকদিনের মধ্যেই বেগুন চারায় পোকা লেগে বেগুন ক্ষেত নষ্ট হতে শুরু করেছিল। প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ওষুধ প্রয়োগ করলেও তা বিশেষ কাজে লাগেনি।
এই অবস্থায় আর সময় নষ্ট করেনি শরিফুল, হেল্পলাইন এর সাহায্যে শরণাপন্ন হয় ফাউন্ডেশনের রিসোর্স পার্সন-এর কাছে। এর পাশাপাশি লকডাউন এর সময় স্পেশাল মাল্টি লোকেশন অডিও কনফারেন্স -এও অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলো শরিফুল। রিসোর্স পার্সন-এর পরামর্শমতো প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করে এক সপ্তাহের মধ্যেই বেগুন গাছের পোকা দূর হয়ে গাছ সতেজ হয়।
উপকৃত শরিফুল এর কথায়, " গ্রাম বাংলায় আমরা কৃষি সম্পর্কিত কোনো সমস্যায় পড়লে নিজেদের অভিজ্ঞতামত অসুধ ব্যবহার করি, কিন্তু অনেক সময় তা কাজে লাগে না, ফলে ফসল নষ্ট হয় যায়। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর ইনফরমেশন সার্ভিসের মাধ্যমে এখন সহজেই সহজেই সঠিক পরামর্শ পাই, পাশাপাশি মাটির চরিত্র অনুযায়ী কোন ধরণের বীজ ব্যবহার করলে উৎপাদন ভালো হবে সেটাও জানতে পারি।
আর এ সবের ফলেই ফসলও কম নষ্ট হয়, অন্যদিকে উৎপাদন আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তাই, আজ আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী"।
আরও পড়ুন - ২০২১-২২ বাজেটে কৃষকদের জন্য মোদী সরকারের বড় ঘোষণা (2021-22 Budget Update)