১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 5 February, 2024 2:18 PM IST
ক্যাপসিকাম চাষ

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ক্যাপসিকাম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন  উত্তর প্রদেশে বসবাসকারী অলোক নামে একজন প্রতিবন্ধী কৃষক । তিনি ক্যাপসিকাম চাষ করে বার্ষিক ১ কোটি টাকা আয় করছেন, যার মধ্যে তিনি ৮৫ লাখ টাকা নিট লাভ করছেন।

ইটাওয়া থানার বাসরেহার এলাকার অন্তর্গত চাকওয়া বড় গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী অলোকের পরিবার একসময় দারিদ্রে ভুগছিল। পরিবারে তিন ভাইবোনের ভরণপোষণের দায়িত্ব তার কাধে এসে পরেছিল । ৫ বিঘা জমি থেকে কোনোভাবে সংসার চলছিল। এরপর ক্যাপসিকাম চাষে তার ভাগ্য বদলে যায়।

আরও পড়ুনঃ চাকরীতে মন নেই,চাষবাস করেই কোটি টাকা আয় করছেন ইঞ্জিনিয়ার যুবক

পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে অলোক শৈশবেই প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। তার মা ও বোনও প্রতিবন্ধী। বাবা কৃষিকাজে সংগ্রাম করছিলেন। দারিদ্র্যের যুগ চলছিল ঠিক সেই সময়েই একটি ম্যাগাজিনে ক্যাপসিকাম ফলানোর পদ্ধতি পড়েছিলেন অলোক। তারপর অলোক নিজের জায়গায়ও ক্যাপসিকাম চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন।

অলোক প্রথমে এক বিঘায় ক্যাপসিকাম চাষ করেন। অভিজ্ঞতার অভাবে ক্ষতি হয়। প্রথমবারের মতো অর্ধেকের বেশি ফসল নষ্ট হয়ে যায় । এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে, অলোক বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি চাষে ভাল লাভ করতে পারেন।

হাল না ছেড়ে অলোক আবার ক্যাপসিকাম চাষ করে। ধীরে ধীরে তিনি ক্যাপসিকাম চাষে লাভবান হতে থাকেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাপসিকামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অবলম্বন করে জৈব পদ্ধতিতে গত বছর অন্যের কাছ থেকে খাজনায় জমি নিয়ে ৪০ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। পুরো ৪০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে তার আয় হয়েছে ১ কোটি টাকা। এতে তার খরচ হয়েছে ১৫ লক্ষ্য টাকা, নীট লাভ ৮৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুনঃ এবার রাজ্যেও লাম্পি ভাইরাসের হাতছানি, আক্রান্ত ২

অলোক জানান, এলাকার ৫ শতাধিক কৃষক এখন তার কাছ থেকে আধুনিক চাষাবাদের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তিনি এখানে ক্যাপসিকামও উৎপাদন করছেন। সব মিলিয়ে তিনি এই সময়ে ক্যাপসিকামের একটি ১৭ একর জমি স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ নেওয়া কৃষকদেরও চারা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে তিনি এই সময়ে ক্যাপসিকামের একটি ১৭ একর গাছের নার্সারী স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ নেওয়া কৃষকদেরও চারা দেওয়া হবে। আরও অনেক কৃষকও ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো ফলন ও ভালো মুনাফা অর্জন করতে শুরু করেছেন।

অলোক আরও বলেছেন যে কৃষিতে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক নির্দেশিকা রয়েছে। তাপমাত্রার সাথে লড়াই করে, এখানকার তাপমাত্রার তারতম্য, প্রচন্ড তাপ, অতিরিক্ত বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করা ফসলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।

English Summary: Fortune changed in Capsicum farming, this farmer is earning one crore rupees a year
Published on: 20 September 2022, 02:50 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)