গতানুগতিক ধান চাষের থেকে সুগন্ধী গোবিন্দভোগ ধান চাষ বেশ লাভজনক। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও মানুষের খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের ফলে বাজারে এর চাহিদাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে বলে দাবি চাষি ও কৃষি আধিকারিকদের। তাই লাভ ও চাহিদার কথা মনে করে এবারও গোবিন্দভোগ ধান চাষের কাজে উৎসাহিত হয়েছেন কালনা মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের চাষিরা। চাষের এই কাজে তাঁদের উৎসাহিত করেছেন কৃষি আধিকারিকরাও।
কালনা মহকুমা এলাকায় প্রথাগত ধান চাষ, যেমন আউশ, আমন, বোরো ও কিছু উচ্চ ফলনশীল ধান চাষই বেশি হয়। যদিও গোবিন্দভোগ ধান চাষের জন্য সরকারিভাবে এইবার মহকুমা এলাকায় ১২০০ হেক্টর জমির বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে বলে মহকুমা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর। তার মধ্যে পূর্বস্থলী ১ ও মন্তেশ্বর ব্লকে সব থেকে বেশি সুগন্ধী ধানের চাষ হয়েছে। এছাড়াও কালনা ১ ও ২,পূর্বস্থলী ২ ব্লকেও এই ধানের চাষ হয়েছে।সরকারিভাবে এই পরিসংখ্যানের বাইরেও বেশ কিছু এলাকার চাষি নিজেদের উদ্যোগে অনেকটা জমিতে এই সুগন্ধী ধানের চাষ করেছেন।
আরও পড়ুন - Red ladies finger farming: লাল ঢেঁড়শ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কৃষক
এই ধানগাছে রোগের প্রাদুর্ভাবও কম। রাসায়নিক সারের প্রয়োজনীয়তাও অনেক কম। কালনার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নাদনঘাট ও বগপুর পঞ্চায়েত এলাকার পাশাপাশি আরও কয়েকটি এলাকায় সবথেকে বেশি গোবিন্দভোগের চাষ হয়েছে। মন্তেশ্বর ব্লকেও বেশী পরিমাণে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হয়েছে বলে জানান সহকৃষি অধিকর্তা কনক দাস। তিনি জানান, এই ধান চাষের কাজে যুক্ত রয়েছেন কয়েক হাজার ধানচাষি। এরমধ্যে সবথেকে বেশি চাষ হয়েছে, শুশুনিয়া ও বাঘাসন পঞ্চায়েত এলাকায়।
এছাড়াও জামনা, পুটশুড়ি, মন্তেশ্বর, মামুদপুর এলাকাতেও এই ধানের চাষ হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে গতবারে কালনা ২ ব্লকে সুগন্ধী গোবিন্দভোগ ধান চাষ করেন বেশ কিছু চাষি। এই ব্লকের আনুখাল, দমদমা, আটকেটিয়া, কুলটি, বালিয়ার মত বিভিন্ন এলাকায় এই ধান চাষের কাজে চাষিরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। একশো হেক্টর জমিতে এইবার গোবিন্দ ভোগ ধানের চাষ হয়েছে বলে জানান ব্লক কৃষি আধিকারিক সুব্রত ঘোষ। কালনা মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, “গতানুগতিক ধান চাষের থেকে সুগন্ধী গোবিন্দভোগ ধান চাষে চাষির লাভ বেশি। এই কারণে এই চাষের কাজে চাষিরা বেশি ঝুঁকছেন। বাজারে এর চাহিদা থাকায় চাষিরা লাভবানও হচ্ছেন।”
আরও পড়ুন - Indian Jujube Farming: দেখে নিন কুল চাষের সঠিক পদ্ধতি