কিরণ মজুমদার শ- ফোর্বসের তালিকায় ভারতের পঞ্চম ধনী মহিলা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। কিরণ মজুমদার শ ভারতের বৃহত্তম তালিকাভুক্ত বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োকনের প্রতিষ্ঠাতা । ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে এটি একটি বড় কোম্পানি । এই কোম্পানি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । তিনি পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। জেনে নিন ভারতের সবচেয়ে ধনী মহিলা কিরণ মজুমদার শ-এর সাফল্যের গল্প।
কিরণ মজুমদারের জীবনী
কিরণ মজুমদার ১৯৫৩ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর বাবা মা উভয়েই বাঙালি। তিনি ১৯৬৮ সালে বেঙ্গালুরুর বিশপ কটন গার্লস হাই স্কুল হতে স্কুল জীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন।
কিরণ মজুমদারের কর্মজীবন
অধ্যয়নরত অবস্থায়, কিরণ মজুমদার শ মেলবোর্নের কার্লটন এবং ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ, ব্রুয়ার, ব্যারেট ব্রাদার্স এবং বারস্টনে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেন। এরপর, কিছু সময়ের জন্য, কিরণ কলকাতার জুপিটার ব্রিউয়ারিজ লিমিটেড-এ প্রযুক্তিগত পরামর্শক হিসাবেও কাজ করেছিলেন। 1975-1977 সাল পর্যন্ত, তিনি বরোদার স্ট্যান্ডার্ড মোল্ডিং কর্পোরেশনে টেকনিক্যাল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।
কিরণ মজুমদার এবং বায়োকন লিমিটেড
।কিরণ মজুমদারের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বায়োকন লিমিটেড। কিরণ মজুমদার বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারপারসন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই সংস্থাটি কিরণ 1978 সালে মাত্র 1200 টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কোম্পানীটি ছিল ভারতের প্রথম কোম্পানী যা এনজাইম তৈরি করে, তারা এই ওষুধ আমেরিকা ও ইউরোপে রপ্তানি করত। 1989 সালে বায়োকন লিমিটেড ভারতের প্রথম বায়োটেকনোলজি কোম্পানি হয়ে ওঠে। কোম্পানিটি 2003 সালের মধ্যে মানব ইনসুলিন তৈরি করা বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হয়ে ওঠে, একের পর এক বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে দেয়। আজ এই কোম্পানিটি 50 হাজার কোটি টাকারও বেশি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তেলেঙ্গানার প্রথম মহিলা মেকানিক একাই ট্রাকের টায়ার ঠিক করার কাজ করেন
কিরণ মজুমদার শ যে সম্মান পেয়েছেন
কিরণ মজুমদার অনেক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ছিলেন কিরণ মজুমদার শ। World Entrepreneur of the Year 2020 পুরস্কার পেয়েছেন।