'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 5 November, 2021 11:28 AM IST
Paddy farming (image credit- Google)

উচ্চফলনশীল বিনা ধান-২২ আবাদে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চাষি মুরাদ মালিথা। চলতি আমন মৌসুমে বাণিজ্যিকভাবে এই নতুন সরু জাতের ধানের চাষ করেছেন তিনি। এ যুবকের সাফল্য দেখে গ্রামের অন্য চাষিরাও এ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। উচ্চফলনশীল হওয়ায় দেশের বাড়তি খাদ্য চাহিদা পূরণে এ ধান ভূমিকা রাখবে বলে আশা কৃষিবিদদের। মুরাদ মালিথা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পতিরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে উফশী ( উচ্চফলনশীল) ধানের আবাদ করে চলেছেন।

বিনা উপকেন্দ্র ঈশ্বরদীর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শারমীন আরা জান্নাত জানান, কম খরচে লাভ, চাহিদা ও পরনির্ভরতা কমিয়ে আনতে প্রতিনিয়তই নতুন জাতের উদ্ভাবনে সচেষ্ট আমরা। বছরে তিন বার ফসল উঠানো যাবে এমন ‘কন্সেপ্ট’ থেকেই বিনা-২২ ধান উৎপাদনে জোর দেয়ে হচ্ছে। এ বছর ঈশ্বরদীর যুবক মুরাদ মালিথা ১৫-১৬ বিঘা জমিতে এ জাতের ধান চাষ করে লাভবান।

বিনা উপকেন্দ্র ঈশ্বরদীর ঊর্ধতন কর্মকর্তা সুশান চৌহান জানান, বিনা ধান-২২ এর বৈশিষ্ট্য হলো এটি উচ্চফলনশীল, এর জীবনকাল অন্য ধানের চেয়ে কম। মাত্র ১১২-১১৫ দিনে ধান পেকে যায়। চাল লম্বা ও চিকন দানা বিশিষ্ট। সরু চাল হওয়ায় এর চাল বাজারে নাজিরশাইল এর সাথে পাল্লা দিতে পারবে বলে আশা করা যায়। তিনি জানান, গাছ শক্ত বলে মোটেই হেলে পড়ে না। লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুরা, পাবনা, রাজশাহীসহ ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া, পার্বত্য অঞ্চল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়। পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাদ মালিথার প্লটে তারা ভালো উৎপাদন দেখছেন।

চাষাবাদ পদ্ধতি:

উফশী রোপা আমন জাতেরমতোই। তবে ধান পাকার ১০-১২ দিন আগে জমির পানি শুকিয়ে ফেলা ভালো। এ জাতের রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। পোকামাকড় দমনের জন্য আইপিএম পদ্ধতিই সবচেয়ে ভালো বলে ওই কর্মকর্তা জানান। ঈশ্বরদীতে এবার বিঘা প্রতি ২০-২৫ মণ ফলন হবে বলে তারা আশাবাদী। বিনা ধানের এ জাতটি এ বছর ১৫-১৬ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন মুলাদ মালিদা। এর মধ্যে এক বিঘা প্রদর্শনী প্লট হিসেবে রয়েছে। নিজ প্লটে দাঁড়িয়ে মুলাদ মালিথা জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে দৌড়াননি।

আরও পড়ুন -Carrot farming process: জেনে নিন কিভাবে সহজ উপায়ে গাজর চাষ করবেন

সাফল্যের কাহিনী:

তিনি ধানসহ অন্যান্য উফশী ফসল চাষে আত্ননিয়োগ করেছেন। তিনি সব সময় নতুন জাত সংগ্রহ করে তা আবাদের চেষ্টা করেন বলে জানান। তিনি জানান, এ বছরই বিনা-২২ জাতটি চাষির কাছে আবাদের জন্য বিনা অফিস অবমুক্ত করেছে। তিনি নতুন জাতের এ ধনা উৎপন্ন করে ব্যাপক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। তিনি জানান,পাকতে সময় কম লেগেছে। চাল সরু হওয়ায় তা নাজিরশাইল চালের সাথে বাজারে টক্কর দিতে পারবে।

চাষি মুরাদ মলিথা জানান, তিনি বিঘা প্রতি ২২-২৪ মণ ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। এ জাতের ধান চিকন বলে বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন। স্বল্পমেয়াদী এ ধান কাটার পর একই জমিতে রবি শস্য আবাদ করা যাবে। বেশি ফলন ও জমির বহুমুখী ব্যবহারের সুযোগ থাকায় এ ধান আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এলাকার চাষিরা।

গ্রামের চাষি রবিউল ইসলাম সবু জানান, তারা সরু ধানের এ জাতটি দেখে খুব খুশি। তিনি জানান, তারমতো অনেক চাষি এ জাতটি দেখে আগ্রহী হয়েছেন। যারা আগে দেখেননি তারা মাঠ দিবসের মাধ্যমে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের আশা আগামী মৌসুমে তারা এ ধানের বীজ পাবেন এবং এ জাতটি চাষাবাদ করতে পারবেন। আগাম ফসল কাটতে পারায় ওই জমিতে সরিষা, আলুসহ অন্যান্য রবি শস্য করার উদ্যোগ নিতে পেরেছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলনের খবরে প্রতিদিনই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দেখতে আসছেন নতুন জাতের ধান। তারাও আগামীতে উচ্চ ফলন পেতে এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ জানান, বিনা-২২ জাতের ধানে চিটা নেই বললেই চলে। আগাম ফসল কাটতে পারায় ওই জমিতে সরিষা, আলুসহ অন্যান্য রবি শস্য করার উদ্যোগ নিতে পেরেছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলনের খবরে প্রতিদিনই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দেখতে আসছেন নতুন জাতের ধান। তারাও আগামীতে উচ্চফলন পেতে এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

আরও পড়ুন -Vertical Farming: উল্লম্ব চাষ ও ছাদ বাগানের সাথে কৃষির ক্রমবিকাশ

English Summary: Successful paddy farming: Murad, a farmer from Bangladesh, achieved great success in paddy cultivation
Published on: 05 November 2021, 11:00 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)