কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বলা হয় যে আপনার যদি নতুন কিছু করার আবেগ এবং উত্সর্গ থাকে তবে প্রতিটি কাজ আপনার পক্ষে সম্ভব হয়। একই রকম বিহারের বাসিন্দা অবিনাশ কুমার সিং-এর গল্প, যিনি তার ৫০,০০০ টাকার চাকরি ছেড়ে মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং আজ তার বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকা।
এই সবকিছুই তার পক্ষে অসম্ভব ছিল কিন্তু তার কঠোর পরিশ্রম করার আবেগ এবং নতুন কিছু করার কৌতূহল তাকে আজ এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তার একজন সফল কৃষক হয়ে ওঠার গল্প শুরু হয় লকডাউন দিয়ে। আমরা সবাই জানি যে করোনার সময় সবাই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কেউই এর হুল থেকে বাদ পড়েনি। সে যে সেক্টরেই কাজ করুক না কেন, সবাইকে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুনঃচিংড়ি মাছের লার্ভা প্রতিপালনের জন্য পুকুর প্রস্তুতি
লকডাউনে যখন সমগ্র ভারত সরকার দ্বারা বন্ধ ছিল। এই সময় বিহারের জামুই গ্রামের বাসিন্দা অবিনাশ কুমার সিং দিল্লির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এরপর এই মহামারীর কারণে অফিস বন্ধ হয়ে গেলে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। এ সময় অবসর সময়ে ইউটিউব দেখে চাকরির ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবলেন তিনি। কারণ তার মনে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ থেকে আলাদা কিছু করা গেলে ভালো হবে। এখন তিনি ইউটিউবে মাছ চাষের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করতে কী করা দরকার সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।
তারপর তিনি মাছ চাষ শুরু করেন এবং এর ফলে তিন লক্ষ টাকা আয় হয়। দ্বিতীয় বছরেও আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা। এ থেকে তিনি বুঝতে পারলেন যে, এই ব্যবসা তার জন্য ভালো। বর্তমানে তারা তিনটি পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ করছেন। তবে আগামী দিনে চার একর জায়গায় পুকুর নির্মাণ করে মাছ চাষ করা হবে। এছাড়া ইউটিউব থেকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন জাতের মাছও লালন পালন করছেন। অবিনাশ কুমার সিং জানান, এ বছর তিনি প্রচুর মাছ চাষ করেছেন। এই কারণে, অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৩ মাসে ১৫ লক্ষ টাকা আয় হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ গলদাচিংড়ি সনাক্তকরণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
বিহারে মাছের ভালো বাজার রয়েছে
বিহার রাজ্যে মাছের বাজার খুবই ভালো। কারণ বিহার মাছ উৎপাদনকারী রাজ্য নয়। পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে মাছ আমদানি করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিহারে মাছ চাষ শুরু করলে ভালো লাভ করা যায়। আপনি এই ব্যবসা থেকে অনেক উপার্জন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে একটু ভিন্নভাবে ভাবতে হবে।