জলের স্তর কমে যাওয়ার কারণে কৃষকরা ভালো ও সফল চাষ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে কারণ এখন তাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য ফসল চাষে পাড়ি জমাচ্ছে, যাতে কম জল লাগে এবং খরচ কম হয়।
এ ধরনের চাষাবাদ করে কৃষকরা তাদের জীবন বদলে দিচ্ছে। আজ আমরা আপনাদের এমনই এক গ্রামের কৃষকদের কথা বলব। যারা তাদের বছরের চাষাবাদ থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্যান্য লাভজনক চাষাবাদ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
খরিফ ও রবি ফসলের পরিবর্তে ফুল চাষ
যোধপুর জেলার লুনি এলাকার ডলি গ্রামে বসবাসকারী অনেক দরিদ্র কৃষক তাদের ক্ষেতে খরিফ ও রবি ফসল ফলানোর পরিবর্তে ফুল চাষে ঝুঁকছেন। শুধু তাই নয়, এখানকার চাষিরা এই চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
আমরা আপনাকে বলি যে এখানকার কৃষকরা তাদের জমিতে প্রচুর পরিমাণে ফুল চাষ করে একজন সফল কৃষকের শ্রেণীতে রয়েছে । এখানকার কৃষকরা দেশের অন্যান্য কৃষকদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস। যে সব কৃষকের কৃষিকাজ করার মতো পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। সেসব কৃষকদের এখানকার কৃষকদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ স্বল্প বিনিয়োগে গাঁদা চাষ করে লাখ টাকা আয় করছেন এই কৃষক, জানুন তার সাফল্যের কাহিনী
ফুল চাষ থেকে ভালো লাভ
গত পাঁচ বছর ধরে এখানকার জমির জলের স্তর ক্রমাগত কমছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এখানকার চাষিরা ফুল চাষ শুরু করেছেন এবং কম জমির চাষিরাও এ ক্ষেত থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন।
এখানকার কৃষকরা মনে করেন, দেশের অধিকাংশ কৃষকের মনোযোগ শস্য চাষের দিকে, কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি একজন দরিদ্র কৃষকের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল চাষে পরিণত হয়েছে। এই ধরনের কৃষকদের জন্য, সবজি এবং ফুলের চাষ একটি ভাল বিকল্প। এগুলো চাষ করে তারা প্রতিমাসে স্বাচ্ছন্দ্যে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারে।
যোধপুরের কৃষকরা বিশ্বাস করেন যে ফুল চাষে খরচ খুবই কম এবং লাভও ভাল। কারণ বর্তমান ফ্যাশন জগতে মানুষ ফুল বেশি ব্যবহার করে। সারা বছরই বাজারে ফুলের চাহিদা একই থাকে। যেমন বিয়ের অনুষ্ঠান, মন্দিরে পূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রঙের ফুলের দাম আলাদা।
আরও পড়ুনঃ গোবরের কামাল! এসি ছাড়াও ঠান্ডা, এই উপায়ে বাড়ি তৈরি করে তাক লাগালেন এই ব্যক্তি