সময়ের সদ্ব্যবহার করে এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে, সাতনা জেলার তিন যুবক মিলে গ্রামে জৈব চাষ শুরু করেন। এই তিন যুবকের কঠোর পরিশ্রম বিফলে যায়নি। একসাথে, তিন যুবকই ভাল উপার্জন করছে। পাশাপাশি গ্রামের চাষীদের জৈব চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে তারা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সাতনা জেলায় বসবাসকারী যুবক সঞ্জয় শর্মা, হিমাংশু চতুর্বেদী এবং অভিনব তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, করোনা মহামারী প্রতিরোধে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। তখন সবাইকে ঘরে বসে কাজ করতে হয়েছে। বাড়িতে থাকার সময় যে সময়টুকু থাকে, তার সদ্ব্যবহার করতে তিনজন মিলে জৈব চাষ শুরু করেন।
জৈব খামারের মডেল তৈরি করা হচ্ছে
জৈতওয়াড়া বীরসিংহপুর রোডে কামধেনু কৃষক কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে একটি জৈব খামারের মডেলও তৈরি করেছে।সংগঠনের মাধ্যমে কৃষকদের সনাতন পদ্ধতি থেকে দূরে সরে প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এই তিন যুবকে উদ্যানপালন দফতর থেকেও সাহায্য় করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কুমকুম ঢেঁড়স: কৃষকদের জন্য লাভজনক এই ফসল, রয়েছে অন্তহীন পুষ্টিগুণ
দু'বছর আগে বাঘার কেশব মাধব গোশালা থেকে জৈব চাষ শুরু করা যুবকরা উদ্যানপালন দফতরের সাহায্য পেয়েছেন।বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে সেচের জন্য উন্নত বীজ, চারা, ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিট এবং স্প্রিংকলার প্রদান করা হয়েছে।
জৈব সার উৎপাদন
সবজির পাশাপাশি জৈব সারও উৎপাদন করছে জেলার এই তরুণরা। এর মধ্যে রয়েছে হলুদ, পেঁয়াজ, আলু, কেঁচো জৈব ইত্য়াদি।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলের মতো ভয়ঙ্কর,জিলেপির মত মিষ্টি,জানুন জঙ্গল জিলেপি ফলের পুষ্টির গুন
সুবিধা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
যুবকরা মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৃষকদের সমৃদ্ধ করার জন্য। এবং রাজ্য সরকার পরিচালিত প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়ার জন্য। পাশাপাশি কৃষকদেরও সরকারের পরিকল্পনার সুবিধা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।