কৃষিতে নানা বিষয় নিয়ে নিরন্তন গবেষনা হয়ে চলেছে । সেই সাথে চলে নিত্য নতুন জাতের উদ্ভাবন। তেমনই একটি গমের জাত সম্পর্কে কৃষি জাগরণের পক্ষ থেকে আজ আপনাদেরকে জানাবো। রাজ্য়ে কালো গমের চাষ এখন পর্যন্ত শুরু না হলেও উত্তর প্রদেশের কৃষকরা ধুমায়ে চাষ করছেন কালো রংয়ের এই গম। সাধারনত কৃষকরা রবি মৌসুমে এই গম চাষ করেন। বিজ্ঞানীদের দ্বারা উদ্ভাবিত কৃষ্ণ বর্ণের এই গমের চাষ কেবল কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে না, মানুষকে মারাত্মক রোগ থেকেও বাঁচাতে সাহায্য় করবে ।
কালো গম দেখতে আসলে কালোই হয়। তবে গম পিষে ময়দা বের করার পর রঙ কুচকুচে কালো না হলেও এই আটার রুটি দেখতে হয় গোলাপি বর্ণের। তবে এই গম দিয়ে বিস্কুট বা রুটি বানালে সেটার রং পুরোই কালো হয়। আর গমের রং কালো হওয়ার জন্য যেটি কাজ করে তার নাম হলো এন্থোসায়ানিন। এন্থোসায়ানিন শুধু গম নয় অন্যান্য ফলের রংয়ের জন্য দায়ী।
বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণ গমের চেয়ে কালো গম বেশি পুষ্টিকর। এই গম মানুষকে অনেক মারাত্মক রোগ যেমন, ক্যান্সার, সুগার, কোলেস্টরল, হৃদরোগ, থেকে রক্ষা করতে পারে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এই প্রজাতির গমে উচ্চ প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের খাদ্যের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই দিন দিন এই গমের চাহিদা বেড়েই চলছে। তাছাড়া কৃষকরা যদি কালো গম চাষ করেন, তবে এটি তার জন্য খুব উপকারী হবে। কারন এই গম একদিকে যেমন কৃষকরা ভাল দামে বিক্রি করতে পারবেন, অন্যদিকে তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো।
আরও পড়ুনঃ নীলকন্ঠ আলু চাষ: মাত্র 10 বস্তা বীজে 258 বস্তা নীলকন্ঠ আলু উৎপাদন, জেনে নিন এর বিশেষত্ব
এটি সাধারণত নভেম্বর মাসে বপন করা হয়। এই প্রজাতির সাধারণ উৎপাদন প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ কুইন্টাল হয়।আপাতত এই গম শুধু ভারতেই চাষ হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মেহেদি চাষ: খরচ কম, লাভ বেশি, এভাবে চাষ করলে আয় হবে লাখ লাখ টাকা!