কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বর্তমানে আসাম, গুয়াহাটি, দার্জিলিং এবং জম্মু ও কাশ্মীরের চা সারা বিশ্বে খুব বিখ্যাত। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে বিহারের নামও। বিহারের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে সরকার চা চাষের জন্য কিষাণগঞ্জ জেলাকে বেছে নিয়েছে। দার্জিলিং চায়ের মতো কিষাণগঞ্জ জেলার চাও জিট্যাগ পেয়েছে। এখানে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। দেশ বিদেশে ভারতীয় চায়ের চাহিদা এবং ব্যবহার বাড়ছে, তাই রাজ্য সরকার চায়ের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে এবং আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে চা চাষের সাথে যুক্ত করতে একটি ভর্তুকি প্রকল্প পরিচালনা করেছে। চা চাষে কৃষকদের ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার সরকার। এ জন্য কৃষকদের কাছ থেকে আবেদনও চাওয়া হয়েছে।
চা চাষের জন্য ভর্তুকি
বিহার সরকার রাজ্যের চা চাষকে উন্নীত করার জন্য একটি বিশেষ উদ্যানপালন ফসল প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১৫০ হেক্টর জমিতে চা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের এই প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ৪,৯৪,০০০ টাকা খরচ করা হবে। ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি অর্থাৎ ২,৪৭,০০০ টাকা কৃষকদের জন্য খরচ করা হবে। এই স্কিমে আবেদন করার পরে, সুবিধাভোগী কৃষকদের অনুদানের পরিমাণ ৭৫:২৫ অনুপাতে অর্থাৎ দুটি কিস্তিতে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ পরিত্যাক্ত জমি রয়েছে? চাষ করুন শ্বেত চন্দনের,কয়েক বছরেই হয়ে যাবেন কোটিপতি
এই প্রকল্পের জন্য সরকারের তরফ থেকে কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে । প্রকৃতপক্ষে, যারা জুলাই-আগস্ট মৌসুমে নতুন চা গাছ লাগিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই এই অনুদান প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
-
এই স্কিমের অধীনে, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তখনই পাওয়া যাবে যখন, ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে, প্রায় ৯০ শতাংশ সদ্য রোপিত চা গাছগুলি বেঁচে থাকবে৷
-
এই প্রকল্পের আওতায় জেলার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে উপকারভোগী কৃষক নির্বাচন করা হবে।এর মধ্যে SC কৃষকদের ১৬ শতাংশ, ST কৃষকদের ১ শতাংশ এবং মহিলা কৃষকদের ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে পুদিনা চাষ করতে চান? শিখে নিন পদ্ধতি
আবেদন পদ্ধতি স্পেশাল হর্টিকালচার ক্রপ স্কিমের অধীনে অনলাইন আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষকরা চাইলে বিহার উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের পোর্টাল, horticulture.bihar.gov.in- এ অনলাইনে আবেদন করতে পারেন ।
-
এই প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য, আপনি নিকটতম জেলার সহকারী পরিচালক, উদ্যানপালনের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
-
ভর্তুকির পরিমাণ DBT এর মাধ্যমে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকদের কাছে পাঠানো হবে, তাই প্রথমে DBT নিবন্ধন করতে হবে।
-
১৩ নম্বরের DBT নম্বরের জন্য, https://dbtagriculture.bihar.gov.in/-এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সংবাদে দেওয়া কিছু তথ্য মিডিয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। কৃষকরা কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।